বিমলপ্রতিভা দেবী

বিপ্লবী নারী।

বিমলপ্রতিভা দেবী (ডিসেম্বর ১৯০১ — আগস্ট ১৯৭৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।

বিমলপ্রতিভা দেবী
জন্মডিসেম্বর ১৯০১
মৃত্যুআগস্ট ১৯৭৮
(বর্তমান ভারত ভারত)
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পেশারাজনীতিবিদ
কর্মজীবন১৯২১ সাল অসহযোগ আন্দোলন
১৯৩০ সাল লবণ আইন অমান্য আন্দোলন
১৯৪৫ সাল শ্রমিক আন্দোলন
প্রতিষ্ঠান'নারী সত্যাগ্রহ সমিতি'-র যুগ্ম-সম্পাদিক
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • সুরেন্দ্রনাথ মুখার্জী (পিতা)
  • ইন্দুমতী দেবী (মাতা)

জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা

বিমলপ্রতিভা দেবী ১৯০১ সালে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে কটকে জন্মগ্রহণ করেন।[১] কিন্তু পিতৃভূমি ছিল নদীয়ায়। তার পিতার নাম সুরেন্দ্রনাথ মুখার্জী ও মাতার নাম ইন্দুমতী দেবী। পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন[২]

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

১৯১৮ সালে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯২৮ সালে প্রকাশও কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৩০ সালে লবণ আইন অমান্য আন্দোলনে যুক্ত হন। সে সময় 'নারী সত্যাগ্রহ সমিতি'-র যুগ্ম-সম্পাদিকা ছিলেন। ১৯৩০ সালে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়। ১৯৩১ সালে মানিকতলার ডাকাতি সম্পর্কে তিনি সহ অনেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৩৮ সালে মুক্তি পান। এই সালেই ত্রিপুরা যুব সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন। ১৯৪১ সালের ২৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ইস্তেহার রাখার কারণে দুই বছর কারাদণ্ড হয়। ১৯৪৫ সালে শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। স্বাধীন ভারতে কয়লা খাদানের শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার ও ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াইতেও তার অবদান আছে। রিভলিউশনারি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংস্পর্শে এসে বিমলপ্রতিভা তার দলে যোগ দেন। নিয়মিত শ্রমিক মহল্লায় ঘুরে ঘুরে ওষুধপথ্য দেওয়া ও শ্রমিকের ছেলেমেয়েদের পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন বিমলপ্রতিভা।[৩] তিনি সাহিত্যচর্চাও করতেন। ১৯৩৮ সালে তাঁর উপন্যাস নতুন দিনের আলো প্রকাশ পায়।[৪]

মৃত্যু সম্পাদনা

বিমলপ্রতিভা দেবী আগস্ট ১৯৭৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আসানসোল শহরের নিকটে তার স্মৃতিতে একটি রাস্তার নাম বিমলপ্রতিভা দেবী সরণি রাখা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "অবহেলায় স্বাধীনতা সংগ্রামী বিমলপ্রতিভার শেষচিহ্ন"ETV Bharat News। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮ 
  2. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৮৬-৮৭। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0 
  3. "কেউ মনে রাখেনি আসানসোলের হান্টারওয়ালিকে"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-৩১ 
  4. গোস্বামী, শ্রুতি। "'নতুন দিনের আলো'- বাজেয়াপ্ত বই"www.sillypoint.co.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮