বিদিত লাল দাস (১৯৩৮ - ৮ অক্টোবর ২০১২) বাংলাদেশের একজন অন্যতম সঙ্গীত গবেষক, সুরকার ও শিল্পী। তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সুর শিল্পী। বিভাগীয় শহর সিলেটেই তিনি আজীবন বসবাস করেছেন এবং সঙ্গীত চর্চা করেছেন।

বিদিত লাল দাস
জন্ম১৯৩৮
মৃত্যু৮ অক্টোবর, ২০১২
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণসঙ্গীত গবেষক, সুরকার ও শিল্পী

১৯৩৮ সালে বিজিত লাল দাস জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষা ও সঙ্গীত জীবনে হতেখড়ি

সম্পাদনা

তিনি ১৯৪৬ সালে শিলং-এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মাত্র ৭ বছর বয়সে তার সঙ্গীত-এ হাতেখড়ি হয় ওস্তাদ সুর সাগর প্রাণ দাসের নিকটে। তিনি ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের নিকটে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নেন।

সঙ্গীত জীবন

সম্পাদনা

বিজিত লাল দাস ১৯৬২ সালে পাকিস্তান রেডিও-তে হাসন রাজার গান গেয়ে তার সঙ্গীত শিল্পী জীবনের সূচনা করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সঙ্গীত শিল্পীদের একজন হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান করেন ও সেখানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন নিয়মিতভাবে। ১৯৮১ সালে তার কনিষ্ঠ পুত্র নিলম মাত্র ৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে এবং তাতে তিনি যথেষ্ট ভেঙ্গে পড়েন। পরবর্তী সময়ে তিনি তার এই পুত্রের নামানুসারে "নিলম সঙ্গীত একাডেমী" নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

সঙ্গীত নিয়ে গবেষণা

সম্পাদনা

সিলেটের একজন বাসিন্দা হিসেবে সিলেটের প্রতি এবং সিলেটি ভাষা ও সঙ্গীতের প্রতি তার ছিল অপার টান। তাই তিনি বহু সিলেটি গান রচনা করেছেন। এছাড়া বিজিত লাল দাস লোকসঙ্গীত, বিশেষ করে সিলেটি লোকসঙ্গীত নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন এবং তার এই গবেষণার ফল হিসেবে তিনি "সুরমাপারের গান" নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

২০১২ সালে ৮ অক্টোবর তারিখ ভোর পাঁচটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে এই সঙ্গীতগুরু ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কয়েকটি জনপ্রিয় গান

সম্পাদনা
  • সাধের লাউ বানালাইলো মোরে বৈরাগী[]
  • মরিলে কান্দিস না আমার দায়
  • বিনোদিনী
  • আমি কেমন করে পত্র লিখি গো বন্ধুরে, গ্রাম-পুষ্টাফিশ নাই জানা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা