বিভিন্ন দেশে বাহাইদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটে, বিশেষত ইরানে[১] ,যেখানে বাহাই বিশ্বাসের সূচনা হয়েছিল এবং বিশ্বের বৃহত্তম বাহাই জনগোষ্ঠী অবস্থিত। মুহাম্মদের নবুওয়াতের চূড়ান্ততা এবং গতানুগতিক ইসলামি বিশ্বাসের কিছু ধারণার সাথে সমার্থক কিন্তু ভিন্ন হওয়ায় বাহাইদের উপর নিপীড়নের সূত্রপাত হয়।[২][৩] অনেকেই বাহাদেরকে ইসলাম থেকে ধর্মত্যাগী হিসাবে দেখে এবং কিছু ইসলামপন্থীর মতে এর সাজা হিসেবে বাহাইদের অবশ্যই অনুতাপ এবং মৃত্যুর মধ্যে বেছে নিতে হবে।

মিসর সম্পাদনা

১৯২৫ সালে মিশর প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র হয়ে উঠার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে বাহাইকে ইসলাম হতে পৃথক ও একটি স্বাধীন ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০১ সালের জানুয়ারিতে, দন্ডবিধির ৯৮ (এফ) ("একটি স্বর্গীয় ধর্মের অবমাননা") এবং অন্যান্য সম্ভাব্য অভিযোগের অযুহাতে সোহাগ শহরে ১৮ জন বাহাইকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত না হয়েও ১০ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. International Federation for Human Rights (২০০৩-০৮-০১)। "Discrimination against religious minorities in Iran" (PDF)। fdih.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-২০ 
  2. Affolter, Friedrich W. (২০০৫)। "The Specter of Ideological Genocide: The Bahá'ís of Iran" (PDF)War Crimes, Genocide and Crimes Against Humanity1 (1): 75–114। 
  3. Mottahedeh, Roy, The Mantle of the Prophet : Religion and Politics in Iran, One World, Oxford, 1985, 2000, p.238