বাবা আদম শহীদ
বাবা আদম শহীদ ছিলেন একজন সুফি সাধক, যিনি দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলায় এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।[১] তিনি বাবা আদম শহীদ মসজিদের নিকটে সমাহিত আছেন বলে মনে করা হয়।[২]
বাবা আদম শহীদ | |
---|---|
![]() বাবা আদম মসজিদের সম্মুখভাগ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মৃত্যু | |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুফিবাদ |
ব্যবহারশাস্ত্র | সুফিবাদ |
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের অদূরে তায়েফে ১০৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্ম প্রচারক বাবা আদম। পরবর্তী সময়ে আধ্যাত্মিক জ্ঞান সাধনায় বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর সাহচর্য পেতে বর্তমান ইরাকের বাগদাদে আসেন। সুদূর আরব দেশে জন্মগ্রহণ করে ইসলাম ধর্ম প্রচারে ভারতবর্ষে এসেছিলেন আধ্যাত্মিক সাধক বাবা আদম (রহ.)। উপমহাদেশে সেন শাসনামলে ১১৭৮ সালে ধলেশ্বরীর তীরে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমে আসেন তিনি। তখন বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জ ছিল বল্লাল সেনের রাজত্বে। ওই বছরই বল্লাল সেনের হাতে প্রাণ দিতে হয় তাকে। এ বিষয়ে নানা কল্পকথা ও স্থানীয় জনশ্রুতি রয়েছে। শাহ হুমায়ুন কবির ‘The Battle of Kanai Changue’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘বাবা আদম শহীদ (রহ.) আরবের তায়েফ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে খানকাহ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচার করেন। বাবা আদম শহীদ (রহ.) ১১৪২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আসেন। সেখান থেকে ১১৫২ খ্রিষ্টাব্দে মুন্সীগঞ্জ সদরের প্রাচীন রামপালনগরে আসেন। মুন্সীগঞ্জ এলাকার কপালদুয়ার, মানিকেশ্বর ও ধীপুরে তিনটি খানকাহ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচার করেন।’
আরও পড়ুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাবা আদম শহীদ"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাবা আদম মসজিদ ও সমাধিসৌধ"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলাপিডিয়ায় বাবা আদম শহীদ
- শাহ হুমায়ুন কবির রচিত ‘The Battle of Kanai Changue'
- প্রথম আলোর "বাবা আদম মসজিদ" https://www.prothomalo.com/amp/story/bangladesh/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6