বাইভালভিয়া
বাইভালভিয়া পূর্ববর্তী শতকে Lamellibranchiata এবং Pelecypoda ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল। এরা মূলত মলাস্কা পর্বের এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠী। বাইভালভিয়ারা মস্তকবিহীন,এদের RADULA (কাইটিন নির্মিত বিশেষ রেতি জিহ্বা), অডন্টোফোর (RADULA-কে ধরে রাখার অঙ্গাণু) নেই।গুগলি, শামুক,ঝিনুক প্রভৃতি এ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
বাইভালভিয়া সময়গত পরিসীমা: Early Cambrian - recent[১][২] | |
---|---|
![]() | |
"Acephala", from Ernst Haeckel's Kunstformen der Natur (1904) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | মলাস্কা (Mollusca) |
শ্রেণী: | বাইভালভিয়া (Bivalvia) Linnaeus, 1758 |
Subclasses | |
ইতিহাসসম্পাদনা
সম্প্রতি প্রাপ্ত EARLY CAMBRIAN বাইভালভ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর পূর্বের ফসিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে এর জীবন্ত প্রজাতির স্ংখ্যা প্রায় ৯২০০,যার মধ্যে রয়েছে ১২৬০ টি প্রজাতি এবং ১০৬টি গোত্র। বাইভালভিয়ার ৮০০০ এরও বেশি প্রজাতি জলজ। এদের সর্বশেষ আবিষ্কৃত গোত্রটি হলো- Veneridae যার ৬৮০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে।
গঠনসম্পাদনা
বাইভালভরা সাধারণত হেমোলিম্ফ (হিমোসিল নামক রক্তপূর্ণ প্রকোষ্ঠ থাকে), দুইটি সদৃশ খোলকের জন্য এদের 'বাইভালভিয়া' বলা হয়। খোলসগুলো ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে গঠিত এবং নমনীয় লিগামেন্ট দ্বারা স্ংযুক্ত থাকে। খোলকের দুইটি অংশকে ভালভ বলা হয়, এগুলোর উভয়টিতে দাঁতের মতো অঙ্গ থাকে। বাইভালভিয়াদের দেহ দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসম, ভালভগুলো মধ্যরেখীয় তলে স্ংযুক্ত। একটি পরিণত বাইভালভিয়ার খোলসের আকার ১ মিলিমিটারের ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ হ্তে শুরু করে ১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগেরই খোলসের আকার ১০সেমি (৪ ইঞ্চি) অপেক্ষা বেশি হয়না।
খাদ্যাভাসসম্পাদনা
বাইভালভিয়ারা টেনিডিয়া নামক বিশেষ ফুলকা দ্বারা খাদ্য গ্রহণ ও শ্বসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে।এরা ছাঁকন পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে।
স্বভাব ও বাসস্থানসম্পাদনা
বাইভালভিয়া শ্রেণির সদস্যরা সাধারণত স্বাদু জল কিংবা নোনা জলে বসবাস করে। এরা শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কাদামাটিতে লুকিয়ে থাকে। পরিণত বাইভালভিয়ারা সমুদ্র তলদেশে পাথর কিংবা কোনো দৃঢ় কোনো অবলম্বনের সাথে আটকে থাকে। এদের == স্ক্যালপ এবং == ফাইল শেল প্রজাতি মুক্ত সাঁতারু।
বিবিধসম্পাদনা
বাইভালভিয়া শ্রেণির শামুক ও ঝিনুক মানুষের প্রিয় খাদ্যে পরিণত হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে মেরিকালচার এবং হ্যাচারির মাধ্যমে এদের চাষ করা হচ্ছে। রোমানরা বহু পূর্ব হ্তেই শামুক ও ঝিনুক খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করত। ঝিনুক মুক্তোর অন্যতম উৎস, এ কারণেও মানুষের নিকট এর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বাইভালভরা প্রাকৃতিকভাবে পরিবেশ দূষণ রোধে সক্ষম। শিল্পীরা শিল্পকর্মের অন্যতম উপাদান হিসেবেও শামুক, ঝিনুক এবং অন্যান্য বাইভালভদের ব্যবহার করে থাকে।