সাধন সঙ্গীত সাধারণত ঐ সমস্ত সঙ্গীত সমূহ বোঝানো হয়েছে, যা সৃষ্টিকর্তা বা পরমআত্নাকে উদ্যেশ্য করে তাঁর পরম সান্নিধ্য লাভের জন্য করা হয়ে থাকে। তবে এই সঙ্গীত সমূহ কোন ধর্মীয় সংগীত নয়। সৃষ্টির গুঢ় বিষয়বস্তু-নিয়ম-প্রাপ্তি ও কর্ম নিয়ে যে পরম উপলব্ধি সেটাই সাধারনত সাধন সঙ্গীত এর উপাত্য বিষয়বস্তু। অবিভক্ত বাংলার অনেক খ্যাতিমান বাউল সাধক পুরুষ, সন্যাসির আগম-সুগমের বদৌলতে বাংলাদেশের সাধন সঙ্গীত তথা বাংলা সংগীত আরো সমৃদ্ধ হয়েছে, আর এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন বলে বিবেচনা করা হয় সাধক পুরুষ গুরু লালন শাহ্‌[১] এর সঙ্গীত সমূহ। এছাড়াও আরো বহু বাউল সাধক রয়েছেন এই বাংলায়, যাঁদের সঙ্গীত বিমোহিতকর। গুরু লালন শাহ্‌ তাঁর গানের কথার সমস্ত বিষয় নির্ধারন করেছিলেন দেহের গুঢ় তত্ব থেকে, আবার অন্যান্য সাধন গন তাঁদের গানের কথা নিয়েছেন প্রকৃতি প্রেম ও ভিন্ন ভিন্ন অনুভব থেকে।

সাধন সংগীত এর উৎপত্তিঃ সম্পাদনা

পৃথিবীর প্রাচীনতম গুহাচিত্র গুলো থেকে জানা যায়, সেই যুগে মানুষের প্রধান কর্মপরিকল্পনা করা হত তাদের শিকার কে কেন্দ্র করে, আর শিকারের সফলতার জন্য তারা একধরনের আরাধনা বা করতো দেওয়ালে ছবি এঁকে এবং বিশেষ ধরনের গান গেয়ে, যা পরবর্তিতে ধর্মীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠে, এই বাংলার সাধারন মানুষ শুরু থেকেই সহজ জীবন এবং গান বাজনা পছন্দ করে এবং যেহেতু সুর ও তাল-ছন্দ দিয়ে বলা বা শোনা কথা মানুষ খুব দ্রুত আত্নস্থ করতে পারে সেই কারনে দেব দেবীদের গুনকথা গানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার প্রয়াসে ধর্মীয় সংগীত এর শুরু হয়। ঠিক একই ভাবে সাধকগন তাঁদের সাধন কথা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই সাধন সঙ্গীত শুরু করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সাধক পুরুষ লালন সাঁইয়ের জানা অজানা জীবনী"gonews24 (ইংরেজি ভাষায়)। 1508245001। সংগ্রহের তারিখ 2021-05-28  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)