বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ

বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠান

বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো) বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগের একটি অধিশাখা।[১][২][৩][৪][৫] ১৯৮১ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান নাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) অধীনে বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ গঠন করা হয়।[৪][৫] ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই কোষের অধীনে ২৩টি পদ ছিল। ১৯৯৯ সালে কোষের ১১টি পদ বিলুপ্ত করে পদের সংখ্যা ১২তে নামিয়ে আনা হয়।[৬] প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাবাকো এ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৬টি আইন, বিধি ও অধ্যাদেশ প্রমিতিকরণ করেছে।[৫] অন্য সব মন্ত্রণালয়ের প্রায় ১০০ আইন বা অধ্যাদেশ প্রমিতকরণ করেছে।[৫] এখনো অনেক আইন ও বিধি ইংরেজিতে রয়েছে, যেগুলো অনুবাদের পর বাবাকোর প্রমিতকরণ করার কথা।

এ পর্যন্ত বাবাকো থেকে প্রশাসনিক পরিভাষা, পদবি পরিভাষা, সরকারি কাজে ব্যবহারিক বাংলাসরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম—এই চারটি বই বের হয়েছে।[৫] এ ছাড়া সচিবালয় নির্দেশিকা ২০১৪ প্রণয়নে বাবাকো সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেছে। শিগগিরই ‘প্রসঙ্গ ব্যবহারিক বাংলা’ নামে আরো একটি বই বের হবে।

বাবাকোর কার্যাবলী সম্পাদনা

  • প্রশাসনিক পরিভাষা প্রণয়ন
  • অফিস আদালতে বাংলা প্রচলন ত্বরান্বিতকরণ
  • বাংলা ভাষা প্রচলনের প্রতিবন্ধকতা মূল্যায়ন ও সমাধান
  • বাংলা ভাষা ব্যবহার সংক্রান্ত কমিটি ও প্রশাসনিক উপ-কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দান ইত্যাদি।[৬]

প্রকাশিত পুস্তক/পুস্তিকা সম্পাদনা

  • প্রশাসনিক পরিভাষা
  • পদবি পরিভাষা
  • সরকারি কাজে ব্যবহারিক বাংলা
  • সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম
  • সচিবালয় নির্দেশিকা ২০১৪

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ভাষা ব্যবহারে অসামঞ্জস্য ঘোচানোর উদ্যোগ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৮ 
  2. "সর্বস্তরে বাংলার জন্য আর কত অপেক্ষা?"দৈনিক প্রথম আলো। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 
  3. "একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশে বিপন্ন বাংলা || উপ-সম্পাদকীয়"জনকন্ঠ। ২০১৯-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 
  4. "বেড়েছে কাজের পরিধি কমেছে জনবল"Jugantor। ২০১৯-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 
  5. "এগোচ্ছে বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২২ 
  6. "বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো) - ম্যানুয়েল" (পিডিএফ)জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৩