বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট (বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক রেজিমেন্ট। এটি ২০০১ সালে গঠিত হয়।[১] ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পরে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় পদাতিক রেজিমেন্ট। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে থাকা ইউনিটগুলিকে নতুন বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করে প্রাথমিকভাবে এই রেজিমেন্টটি গঠন করা হয়েছিল। তারপর এই রেজিমেন্ট তার নিজস্ব নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে। এই রেজিমেন্টটি একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা গঠিত প্রথম নতুন ইউনিট ছিল এবং ফলস্বরূপ এটি সংস্রাব্দের রেজিমেন্ট নামেও পরিচিত।
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট | |
---|---|
![]() বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ব্যাজ | |
সক্রিয় | ২০ জানুয়ারি ২০০১-বর্তমান |
দেশ | ![]() |
শাখা | ![]() |
ধরন | পদাতিক |
ভূমিকা | পদাতিক |
আকার | ৪০টি ব্যাটালিয়ন |
গ্যারিসন/সদরদপ্তর | রাজশাহী |
ডাকনাম | বীর |
নীতিবাক্য | "শক্তিশালী, দ্রুত, উচ্চতর" |
কুচকাত্তয়াজ | চল চল চল |
২০১১ সালে এ রেজিমেন্টকে মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়। বর্তমানে এই রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ ৪৩টি ইউনিট রয়েছে।[১]
ভূমিকাসম্পাদনা
এর শুরুর ভূমিকা হল ঐতিহ্যবাহী পদাতিক লড়াইয়ের দৃশ্যের মাধ্যমে শত্রুর সন্ধান, তার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া এবং ধ্বংস করা। বেসামরিক সরকারকে সাহায্যের জন্য ডাকা হলে রেজিমেন্টটি সহায়তা প্রদান করে। রেজিমেন্টটি বিদেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অবদান রাখে। রেজিমেন্টটির আটটি ব্যাটেলিয়নকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মোতায়েন করা হয়েছে:
- এমওএনইউসি
- ১৭তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ইউএনওসিআই
- ১৬তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ১৮তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ১৯তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ইউএনএমআইএল
- ১২তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ১৩তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ১৪তম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
- ইউএনএএমআইএস
- ৮ম ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "পতাকার মান রক্ষা করা সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব : প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০।