বাংলাদেশে পোল্ট্রি চাষ
বাংলাদেশে পোল্ট্রি চাষ হল বিভিন্ন ধরনের পাখির মাংস, ডিম, পালক উৎপাদন অথবা বিক্রয়ের জন্য গৃহীত প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে পোল্ট্রি বা গৃহপালিত পাখি সবচেয়ে বেশি মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/7/72/Poultry_Farm_in_Namakkal%2C_Tamil_Nadu.jpg/330px-Poultry_Farm_in_Namakkal%2C_Tamil_Nadu.jpg)
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশের আবহাওয়া পোল্ট্রি চাষের জন্য অনেক বেশি অনুকূল বা বন্ধুত্ব সুলভ। বহু বছর আগ থেকে এখানকার মানুষ বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় জাতের পাখি পালন করে আসছে। কিন্তু এদের উৎপাদনশীলতা যথেষ্ট কম হওয়ায় খামার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার তেজগাঁওয়, নারায়ণগঞ্জ ও সিলেটে পোল্ট্রি খামার তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার ১৯৫৮ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সীতাকুন্ডু, বরিশাল, যশােহর, খুলনা, রাজশাহীতে পোল্ট্রি (হাঁস-মুরগির) খামার তৈরি করে। বাংলাদেশে ২০০৫ সালে মোট পোল্ট্রি পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ কোটি ৮৩ লক্ষ এবং বার্ষিক প্রায় ৫৩৬ কোটি ৯০ লক্ষ ডিম উৎপন্ন হয়েছিল। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে দেশে ৪৫টি সরকারি হাসঁ-মুরগির খামার রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি বাচ্চা উৎপাদন করা হয় এবং ৬৪,৭৫৯টি বেসরকারি নিবন্ধিত সহ ১,৬০,৫০৯টি খামার রয়েছে।[১] এ খামারগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ২.৩ কোটি ডিম এবং ১,৫৩০ টন মাংস উপৎপাদিত হয়, যা দেশের মোট মাংস উৎপাদনের ৩৭ শতাংশ।[১]
২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্পে বিনিয়োগ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদেশে ১৫০,০০০ লাখ পোল্ট্রি ফার্ম আছে। ২০১৭ সালের ২ থেকে ৪ মার্চে পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ শাখা ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দশম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো অ্যান্ড সেমিনারের আয়োজন করেছিল
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাবাংলাদেশে পোল্ট্রির মধ্যে মাংসের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের জন্য লেয়ার মুরগি।
দেশীয় পাখি
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্প সমস্যা ও সম্ভাবনা" (পিডিএফ)। mof.portal.gov.bd। অর্থ মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮।