বহুবচন (নাট্যদল)
এক বা একাধিক অবদানকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই নিবন্ধের বিষয়বস্তু সংস্থা-সংগঠন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (কোম্পানি) সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্যতার নির্দেশাবলী অনুসরণ করে নাই। (এপ্রিল ২০১৩) |
বহুবচন (জন্মঃ ০২ মে, ১৯৭২) একটি বাংলাদেশী নাট্যশালা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী আত্মসমর্পনের মধ্যে দিয়ে এ দেশ হানাদারমুক্ত হলো। এই মহান মুক্তিযুদ্ধের অব্যহিত পর কয়েকজন টগবগে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা হাতের অস্ত্র জমা দিয়ে দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গড়ে তোলে নাট্যদল ‘‘বহুবচন’’।
বহুবচন | |
---|---|
জন্ম | মে ০২, ১৯৭২ ঢাকা |
পেশা | মঞ্চায়ন |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
বিষয় | মঞ্চনাটক |
মঞ্চায়নের গৌরবোজ্বল ৪১ বছর
সম্পাদনাআমাদের নাটক মানে শুধু নাটকীয়তা নয়, নাটকের চিরচারিত আঙ্গিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।’’ এই শ্লোগান নিয়ে ১৯৭২ সালের ২’রা ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয় ‘‘বহুবচন’’। বহুবচন এদেশের প্রথম মলিকুল যা থেকে স্বাধীনতা উত্তর নবনাট্য আন্দোলনের সূচনা। ১৯৭২ সালের ৩’রা জুন সর্বপ্রথম বহুবচনই এককভাবে গ্রুপ থিয়েটার চেতনায় দরশনীয় বিনিময়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ফরহাদ মজাহার রচিত, মোতাহার হোসেন নিরদেশীত প্রজাপতির লীলালাস্য নাটকটি মঞ্চায়ন করে যা আজ উজ্জ্বল ইতিহাস। একই বছর ১৯৭২ সালে বহুবচন দর্শনীর বিনিময়ে আরো তিনটি নাটক মঞ্চায়ন করে। সেগুলো হচ্ছে শাহনুর খান রচিত শভাপতি বলবেন নিদের্শনায় ছিলেন মুজিব-বিন-হক, ফজলুর রেহমান ঝিনু রচিতআমি রাজা হবো না নির্দেশনায় ছিলেন মুজিব-বিন-হক এবং সেলিম আল-দীন এর সর্প বিষয়ক গল্প, নির্দেশনায় ছিলেন আমিরুল হক চৌধুরী। ২০১২ইং সাল বহুবচনের নাটক মঞ্চায়নের গৌরবোজ্জ্বল ৪২ বছর। বিগত ৪২ বছরে বহুবচন মঞ্চায়ান করেছে ২২ টি নাটক । আকাশ সংস্কৃতি নাটককে বাণিজ্যের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করে যখন নাট্যাঙ্গনকে গ্রাস করার চেষ্টায় নিয়োজিত তখন বহুবচন পূর্ণবার ঘোষণা করেছে তার আদর্শ। বহুবচন আগামীতেও দর্শকদের সামনে সুষ্ঠু নাটক উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হুমায়ূন আহমেদ এবং বহুবচন
সম্পাদনানাটক জীবনের এক অনির্বাচনীয় সত্যকে মুখোমুখি করে। সাহিত্যের অন্যতম শাখা হিসাবে এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের সাহিত্যকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার অভিপ্রায়ে বহুবচন জনপ্রিয় লেখক নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদকে প্রথম বারের মত পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য তারই জনপ্রিয়ো উপন্যাস নন্দিত নরকে মঞ্চায়নের প্রস্তুতি নেয়। এই উপন্যাসটি ১৯৭২ সালে মাসিক মুখপত্র এর ১ম বরষের ৩য় সংখ্যায় প্রকশিত হয়। উপন্যাসটির ভূমিকা লিখেছেন ডঃ আহমেদ শরীফ। ১৯৭৫ সালে ডঃ জাফর ইকবাল উপন্যাসটির নাট্যরূপদেন এবং ঐ বছর মহিলা সমিতি মঞ্চে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়। নাটকে অভিনয় করেছিলেন
- এ্যানী,
- কবীর,
- রানুপন্নী,
- রফিক নওশাদ,
- দুলাল রহমান,
- আরহাম আলো।
নির্দেশনায়-মুজিব বিল হক। নন্দিত নরকে নাটকটি, সুধিমহল ও সংবাদপত্রে প্রশংসিত হয় ও পুরস্কার লাভ করে।
দেবী
সম্পাদনানব্বই দশকে তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘‘দেবী’’ মঞ্চায়নের জন্য হুমায়ূন আহমেদের অনুমতি নিতে গেলে তিনি উদার ভাবে সম্মতি দেন এবং বলেন আমার নাটক লেখার অনুপেরন তো ‘‘বহুবচন’’। আমার যে কোন নাটক আপনারা নাট্যরূপ দিয়ে মঞ্চস্থ করতে পারেন। আপনাদের প্রতি আমরা আন্তরিক বিশ্বাস আছে। গ্রুপের মোঃ ইকাবল হোসেন, দেবী উপন্যাসটির নাট্যরূপ দেন এবং ১৯৯৪ সালে প্রথম মঞ্চায়ন হয়। বিগত ১৮ বছরে ৭০টি শো হয় এবং ভারতে তিনটি শো হয়। ভারতের দর্শকরা এই ভিন্ন ধারার নাটকটির জন্য প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর ভূয়সি প্রশসা করেন। এমনিভাবে কিংবদন্তি নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদকে মঞ্চ নাটকের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ধরে রেখেছে ‘‘বহুবচন’’।
বহুবচন প্রযোজিত নাটক
সম্পাদনানাটক | সাল | নাট্যকার | নিরদেশক | প্রজাপতির লীলাস্য | ২ রা জুন ১৯৭২ (প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে নাটক) | ফরহাদ মাজার | মোতাহার হোসেন |
---|---|---|---|---|---|---|---|
সভাপতি বলবেন | ১৯৭২ | শাহনুর খান | মুজিব-বিন- হক | ||||
আমি রাজা হব না | ১৯৭২ | ফজলুর রেহমান ঝিনু | মুজিব-বিন- হক | ||||
সর্পবিষয়ক গল্প | ১৯৭২ | সেলিশ-আল-দীন | আমিরুল হক চৌধুরী | ||||
নিরুঞ্জন ফিরে এসো | ১৯৭৩ | সালেহ আকরাম | মুজিব-বিন- হক | ||||
সাড়ে সাতাশ সিংহ | ১৯৭৪ | সাযযাদ কাদির | মুজিব-বিন- হক | ||||
বিপন্ন ধারাপাত | ১৯৭৪ | আবুবাকার | কাফি খান | ||||
নন্দিত নরকে | ১৯৭৪ | উপন্যাস: হুমায়ূন আহমেদ, নাট্যরূপ: জাফর ইকবাল | মুজিব-বিন- হক | ||||
ঘাতক দেশকাল | ১৯৭৮ | ফরহাদ মজাহার | মুজিব-বিন- হক | ||||
প্রতিদিন একদিন | ১৯৭৭ | সাঈদ আহমেদ | রায়হান গফুর | ||||
নেকড়ে | ১৯৭৯ | মনোজ মিত্র | ইকবাল হোসেন | ||||
চাক ভাঙ্গা মধু | ১৯৮০ | মনোজ মিত্র | ইকবাল হোসেন | ||||
যন্ত্রতন্ত্র | ১৯৮২ | মোঃ হোসেন জাকির | মোঃ আলী সেলিম | ||||
ইডিপাস | ১৯৮২ | মূল: সফোক্লিস, রূপান্তর: সৈয়দ আলী আহসান | কামাল উদ্দিন নীলু | ||||
তিনপয়সার পালা | ১৯৮৩ | মূল: বের্টোল্ট ব্রেশট, রূপান্তর:কামাল উদ্দিন নীলু | কামাল উদ্দিন নীলু | ||||
স্বদেশী নক্সা | ১৯৮৪ | মুহিত চট্টোপাধ্যায় | ইকবাল হোসেন | ||||
দেবী | ১৯৯৪ | উপন্যাস: হুমায়ূন আহমেদ, নাট্যরূপ: ইকবাল হোসেন | ইকবাল হোসেন | ||||
স্বপ্নলোকের চাবি | ১৯৭৫ | রহুল আজাদ চৌধুরী | আরহাম আলো | ||||
তিনপয়সার পালা | ১৯৭৭ | মূল: বের্টোল্ট ব্রেশট | আরহাম আলো | ||||
দেবী | ২০০০ | আরহাম আলো | আরহাম আলো | ||||
দায়বদ্ধ | ২০০২ | চন্দন সেন | আরহাম আলো | ||||
দেবী (৩ বার ভারত সফর) | ২০০৮ | উপন্যাস: হুমায়ূন আহমেদ | আরহাম আলো | ||||
তিনপয়সার পালা | ২০১০ | মূল: বের্টোল্ট ব্রেশট | আরহাম আলো |