বলিচিহ্নিত ধনেশ
বলিচিহ্নিত ধনেশ অথবা সুন্ডা বলিচিহ্নিত ধনেশ (Aceros corrugatus) হল একটা মাঝারি আকারের ধনেশ প্রজাতির পাখি যাদেরকে প্রধানত মালয় উপদ্বীপ, সুমাত্রা এবং বোর্নিও এই তিনটে জায়গার বিভিন্ন বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। এদেরকে মাঝে মাঝে রাইটিসেরোস গণের মধ্যে ধরা হয়। এছড়াও এদেরকে অন্যান্য অনেক ধনেশদের সাথে সম্মিলিত করে অ্যাসিরোস গণের মধ্যে ধরা হয়।
বলিচিহ্নিত ধনেশ | |
---|---|
পুরুষ জু নেগারা, মালয়েশিয়া | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Bucerotidae |
গণ: | Aceros |
প্রজাতি: | A. corrugatus |
দ্বিপদী নাম | |
Aceros corrugatus (Temminck, 1832) | |
Wrinkled Hornbill range | |
প্রতিশব্দ | |
Rhyticeros corrugatus |
বলিচিহ্নিত ধনেশ আপেক্ষিক ৭০ সেমি লম্বা, এবং এর খুব বড়ো একটা ঠোঁট আছে যা মস্তক পর্যন্ত গেছে এবং ওখানে মিশে গেছে। এদের পালক প্রধানত কালো হয়, চোখের চারপাশে কালো রঙের একটা রিং থাকে, এবং একটা চওড়া লেজ থাকে যার রঙ হয় সাদা রঙের। পুরুষ ও মহিলাদের ঠোঁটের ধরন আলাদা রকমের হয়। পুরুষদের কান, গাল, গলা, ঘাড়ের চারপাশে এবং বুকে উজ্জ্বল হলুদ রঙের পালক থাকে, কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে তা কালো রঙের হয়, শুধুমাত্র নীল রঙের গলাকে ছেড়ে। পুরুষদের ঠোঁট হলুদ রঙের হয় এবং নিচের দিকের রঙ হয় লাল এবং শিরস্ত্রাণও লাল রঙের হয়, এদের নিচের চোয়ালে বাদামি রঙের একটা আবছা আভা থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ঠোঁট এবং শিরস্ত্রাণ প্রায় পুরোটাই হলুদ রঙের হয়।
এরা প্রধানত বনে জঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে এবং ফল খেতেই এরা বেশি ভালোবাসে, যেমন ডুমুর, এছাড়াও এরা ছোটো ছোটো প্রাণী যেমন ব্যাঙ এবং বিভিন্ন কীট খায়। বলিচিহ্নিত ধনেশ জল পান করে না কিন্তু প্রয়োজনীয় জল পায় তাদের খাদ্য থেকেই। তাদের ডাক কর্কশ "ক্যাক-ক্যাক" ডাক অথবা গভীর "রো-রো" ডাক যা প্রধানত মাইলের থেকেও বেশি দূর থেকে শোনা যায়।
এই পাখিগুলো প্রধানত মনোগ্যামী এবং সারা জীবন জোড়ায় থাকে। তারা প্রধানত গাছের গর্ত খোঁজে বাসা বাঁধার জন্য এবং মহিলারা তাদের বাসায় ঢোকার জায়গা কাদা এবং মল দিয়ে আটকে দেয়, এদের বাসায় একটাই ছোটো ছিদ্র থাকে মহিলা এবং বাচ্চাদের বাইরে আনার জন্য। কিন্তু তারা প্রধানত পুরুষ ধনেশদের দ্বারাই খাদ্য পায়। কয়েক মাস পরে তারা পাখনাগুলোকে শরীর থেকে ঝেরে ফেলে এবং পুনরায় যখন এদের পাখনার বাড়ন্ত দেখতে মেলে তখন তাদের বাচ্চারাও বড় হয়ে যায় এবং তারপরে মা ধনেশ সেই বাসা ভেঙ্গে ফেলে এবং বাচ্চারা প্রথম উড়তে শেখে।
নোট
সম্পাদনা- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Aceros corrugatus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে Aceros corrugatus সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।