বদিউজ্জামান টুনু
বদিউজ্জামান টুনু (আনু. ১৯২৯-২১ জুন ২০২০) বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।[১][২]
বদিউজ্জামান টুনু | |
---|---|
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আনু. ১৯২৯ রাজশাহী জেলা |
মৃত্যু | ২১ জুন ২০২০ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফিরোজা বেগম |
সন্তান | দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে |
পিতামাতা | আবদুল গফুর তাইসুন নেসা |
পুরস্কার | বীর প্রতীক |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাবদিউজ্জামান টুনুর জন্ম ১৯২৯ সালে রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ের তার পৈতৃক বাড়িতে। তার পিতা আবদুল গফুর ও মাতা তাইসুন নেসা। তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। তার ২ ছেলে ৩ মেয়ে। এক ছেলে কানাডা প্রবাসী। আর এক মেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ২ মেয়ে ঢাকায় থাকেন। আর এক ছেলে থাকেন রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা মোড়ের বাসায়।
কর্মজীবন ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
সম্পাদনাবদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভারতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ৭ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় গেরিলাযুদ্ধ ও সম্মুখযুদ্ধে সাহসীকতা প্রদর্শন করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব পান।[১]
২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে। (নজমুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি) ছিলেন।)[৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাবদিউজ্জামান টুনু ২১ জুন ২০২০ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৪]
পরিবার
সম্পাদনাবদিউজ্জামান টুনুর স্ত্রীর নাম ফিরোজ বেগম। তিনি ১৯৮৬ সালে মহিলা সংরক্ষিত আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফিরোজা বেগম মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এখন নারী হৈতষী সমাজসেবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "চলে গেলেন বীর প্রতীক বদিউজ্জামান টুনু | কালের কণ্ঠ"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২২ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০।
- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ:২৮-১০-২০১১"। ২০২০-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২২।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ১৭১। আইএসবিএন 9789843338884।
- ↑ রাজশাহী, স্টাফ রিপোর্টার (২২ জুন ২০২০)। "বীর প্রতীক বদিউজ্জামান টুনু আর নেই"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০।
- ↑ মিঠি, মনিরা রহমান (৯মে, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ)। বরেন্দ্রের বাতিঘর। রাজশাহী: মো: আজহার আলি। পৃষ্ঠা ১৭৯। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
পাদটীকা
সম্পাদনা- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |