বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড
এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (এপ্রিল ২০২৩) |
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকার গুলিস্থানের বঙ্গবাজারে সংঘটিত হয়।[১][২][৩]
তারিখ | ৪ এপ্রিল ২০২৩ |
---|---|
সময় | ৬টা ১০ মিনিট থেকে ১২টা ৩৬ মিনিট (বাংলাদেশী সময়) |
স্থান | বঙ্গবাজার, ঢাকা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′২৫″ উত্তর ৯০°২৪′২১″ পূর্ব / ২৩.৭২৩৬° উত্তর ৯০.৪০৫৭° পূর্ব |
বঙ্গবাজারে লাগা আগুন প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনটি প্রতিবন্ধকতার জানায় ফায়ার সার্ভিস।[৪] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।[৪]
কারণ
সম্পাদনাবঙ্গবাজারে আগুনের কারণ অনুসন্ধানে সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরদিন ৫ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিআইডির পরিদর্শক দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।[৫]
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সকে চার বছর আগেই অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল। তখন ফায়ার সার্ভিস থেকে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে বেশ কিছু ব্যানারও টাঙানো হয়।[৬]
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর মতে, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের পুরোনো ভবনগুলো ভেঙে নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দোকান মালিক সমিতির নেতাদের বাধার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ভবনগুলো ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রমতে, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সময়ে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সটিকে স্টিলের অবকাঠামো দিয়ে ১০ তলা করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই কাজ করতে ঠিকাদারকে কার্যাদেশও (ভবন নির্মাণের অনুমতিপত্র) দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দোকান মালিক সমিতির নেতারা উচ্চ আদালতে গিয়ে নির্মাণকাজের স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন।[৬]
ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ
সম্পাদনাবঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।[৭]
এছাড়া বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন"। www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৪।
- ↑ প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "সাড়ে ৬ ঘণ্টার পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে"। bdnews24। ২০২৩-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৪।
- ↑ "পুড়ে ছারখার বঙ্গবাজার, আগুন নিভছেই না"। Bangla Tribune। ২০২৩-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৪।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক, বিশেষ। "৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে, দেরির তিন কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৫।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৩-০৪-০৫)। "আগুনের কারণ অনুসন্ধানে বঙ্গবাজারে সিআইডি"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৫।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বঙ্গবাজারে আগুন: ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউ"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৫।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৩-০৪-০৪)। "আগুনে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি: দোকান মালিক সমিতি"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৫।
- ↑ প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ডিএসসিসির কমিটি"। bdnews24। ২০২৩-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৫।