ফেরোমন (প্রাচীন গ্রিক φέρω থেকে phero অর্থ "বহন করা" এবং হরমোন, প্রাচীন গ্রিক ὁρμή "impetus" হতে) হচ্ছে নিঃসরিত হওয়া রাসায়নিক বস্তু যা একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে একটি সামাজিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ফেরোমন হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ যা স্বতন্ত্রভাবে শরীরের বাইরে ক্ষরিত হয় এবং হরমোনের মত আচরণ করে। যারা এটি গ্রহণ করে, তাদের উপরও এটি স্বতন্ত্র্যভাবে প্রভাব ফেলে।[] বিভিন্ন ধরনের ফেরোমন যেমনঃ এলার্ম ফেরোমন, ফুড ট্রেইল ফেরোমন, [[sex pheromones|সেক্স ফেরোমন] ইত্যাদি আছে। এছাড়াও আরো অনেক ফেরোমন আছে; যারা শারীরিক এবং স্বভাবে প্রভাব ফেলে। ফেরোমন এককোষীআদিকোষ থেকে জটিল বহুকোষী প্রকৃত কোষে ব্যবহৃত হয়।[] পতঙ্গে ফেরোমনের ব্যবহার বেশ ভালোভাবে গবেষণা থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অধিকন্তু, কিছু ভার্টিব্রাটা, উদ্ভিদ এবং সিলিয়াট (এক ধরনের প্রোটোজোয়া) ফেরোমন ব্যবহার করে যোগাযোগ করে।[]

মৌমাছি ফেরোমন নিঃসরণ করছে

প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

"ফেরোমন" একটি পোর্টেম্যানটিউ শব্দ। ১৯৫৯ সালে পিটার কার্লসন এবং মার্টিন লুসচার; গ্রিক শব্দ φερω ফেরো ('আমি বহন করি') এবং ὁρμων হরমোন ('stimulating') কে সমন্বয় করে এই নাম রাখেন।[] ফেরোমনকে ইক্টো-হরমোন নামেও শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। পুর্বে বিভিন্ন সময় অনেক গবেষক যেমনঃ জিন হেনরী ফাব্রে, জোসেফ এ. লিন্টার, এডলফ বুটেনান্ডট, এবং চরিত্রবিজ্ঞানী (প্রাণীজগতের) কার্ল ভন ফ্রিসচ একে নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা একে বিভিন্ন নামে নামান্বিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে "alarm substances" নামে একজন নামকরণ করেছেন। এই রাসায়নিক বার্তাবাহক শরীরের বাইরে স্থানান্তরিত হয় এবং নিউরোসার্কিটকে, হরমোন অথবা সাইটোকিনের সাথে অটোনোমাস নার্ভাস সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। এটি যে গ্রহণ করে; তার শারীরিক পরিবর্তন, ইনফ্লাম্যাটরী সিগনালিং, প্রতিরোধক ব্যবস্থা এবং স্বভাবে পরিবর্তন দেখা যায়।[] জার্মান জীবরসায়নবিদ এডলফ বুটেনান্ডট সর্বপ্রথম নারী রেশম পোকার ফেরোমেন থেকে বোম্বিকল এর মতো সুগঠিত রাসায়নিক দ্রব্য পান এবং শ্রেণীবিন্যাসিত করেন। এরপরপরই বিজ্ঞানীরা কেমিকাল সিগনাল আচরণগত জীববৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্য নির্দেশে ব্যবহার করার প্রস্তাবনা রাখেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Definition of pheromone" (ইংরেজি ভাষায়)। MedicineNet Inc.। ১৯ মার্চ ২০১২। ১১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. Kleerebezem, M; Quadri, LE (অক্টোবর ২০০১)। "Peptide pheromone-dependent regulation of antimicrobial peptide production in Gram-positive bacteria: a case of multicellular behavior."। Peptides (ইংরেজি ভাষায়)। 22 (10): 1579–96। ডিওআই:10.1016/S0196-9781(01)00493-4পিএমআইডি 11587786 
  3. Luporini P, Alimenti C, Pedrini B, Vallesi A. (2016). Ciliate Communication via Water-Borne Pheromones. In: Witzany G, Nowacki M (eds). Biocommunication of Ciliates, Springer, Dordrecht, pp. 159-174
  4. Karlson P.; Lüscher M. (১৯৫৯)। "Pheromones: a new term for a class of biologically active substances"। Nature (ইংরেজি ভাষায়)। 183 (4653): 55–56। ডিওআই:10.1038/183055a0পিএমআইডি 13622694 
  5. Kohl JV, Atzmueller M, Fink B, Grammer K (অক্টোবর ২০০১)। "Human pheromones: integrating neuroendocrinology and ethology"। Neuro Endocrinol. Lett. (ইংরেজি ভাষায়)। 22 (5): 309–21। পিএমআইডি 11600881 
  6. Butenandt, A.; Beckamnn, R.; Hecker, E. (১৯৬১)। "Über den Sexuallockstoff des Seidenspinners .1. Der biologische Test und die Isolierung des reinen Sexuallockstoffes Bombykol"। Hoppe-Seyler's Zeitschrift für Physiologische Chemie (ইংরেজি ভাষায়)। 324: 71–83। ডিওআই:10.1515/bchm2.1961.324.1.71