ফেনি দ্বীপপুঞ্জ
ফেনি দ্বীপপুঞ্জ বা ফেনী দ্বীপপুঞ্জ হল পাপুয়া নিউ গিনির একাধিক দ্বীপের একটি সমষ্টি, যা নতুন আয়ারল্যান্ডের পূর্বে অবস্থিত। যার স্থানাঙ্ক হল ৪°৪′২০.৩৫″ দক্ষিণ ১৫৩°৩৭′৫৭.০৩″ পূর্ব / ৪.০৭২৩১৯৪° দক্ষিণ ১৫৩.৬৩২৫০৮৩° পূর্ব। এটি বিসমার্ক দ্বীপপুঞ্জের একটি অংশ, যা আবার তাবার-লিহির-টাঙ্গা-ফেনি দ্বীপ শৃঙ্খলের অংশ। এই দ্বীপ সমষ্টির বৃহত্তম দ্বীপটি হল আম্বিটল দ্বীপ (৮৭ বর্গকিমি) এবং ক্ষুদ্রতর দ্বীপটি হল বাবেস দ্বীপ (২৩ বর্গকিমি)।[১]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/01/%D0%92%D1%83%D0%BB%D0%BA%D0%B0%D0%BD_%D0%90%D0%BC%D0%B1%D0%B0%D0%B9%D1%82%D0%BB_%28%D0%9F%D0%B0%D0%BF%D1%83%D0%B0%29.jpg/280px-%D0%92%D1%83%D0%BB%D0%BA%D0%B0%D0%BD_%D0%90%D0%BC%D0%B1%D0%B0%D0%B9%D1%82%D0%BB_%28%D0%9F%D0%B0%D0%BF%D1%83%D0%B0%29.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f3/AmbitleTopography.png/300px-AmbitleTopography.png)
ফেনি দ্বীপপুঞ্জকে এছাড়া আনির দ্বীপপুঞ্জ নামেও ডাকা হয়, পুরাতন মানচিত্রে এটিকে সেন্ট জান, সেন্ট জন, উনারাম, ওনারাম বা বোর্নান্দ দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি নামে লেখা হত।
দ্বীপপুঞ্জটি ১৬১৬ সালের জুনে ওলন্দাজ নাবিক জ্যাকব লে মাইরে এবং উইলেম কর্নেলিজ চৌটেন কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়। ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত ফেনী দ্বীপপুঞ্জটি তথাকথিত "জার্মান সংরক্ষিত এলাকা"র অংশ ছিল এবং ১৮৯৯ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত জার্মান-নতুন গিনি উপনিবেশের অংশ ছিল। ১৯১৪ সালে, অস্ট্রেলীয় সৈন্যরা দ্বীপটি নিজেদের আয়ত্তে নেয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, লীগ অফ নেশনস অফ অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক এটি পরিচালিত হত। ১৯৭৫ সালে, দ্বীপপুঞ্জটি স্বাধীন পাপুয়া নিউ গিনি রাষ্ট্রের অংশ হয়।
দ্বীপপুঞ্জটি পাহাড়ি যা পাথুর এবং ঘন বন দ্বারা ঘেরা। দ্বীপপুঞ্জে সর্বশেষ বড় ধরনের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল ২৩০০ বছর আগে, তবে দ্বীপপুঞ্জটিতে এখনো শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ আছে, বিশেষ করে আম্বিটলে।
দুই দ্বীপে মোট ১,৫০০ থেকে ২,০০০ জন মানুষের বাস করে।