ফিলিপ জোসেফ হার্টগ
স্যার পি. জে. হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। তিনি ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর উপাচার্য হিসেবে তার দায়িত্ব বুঝে নেন।
পি. জে. হার্টগ | |
---|---|
জন্ম | ২ মার্চ, ১৮৬৪ |
অন্যান্য নাম | স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ |
পেশা | অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
নিয়োগকারী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
উপাধি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাস্যার হার্টগের জন্ম ১৮৬৪ সালের ২ মার্চ। তার কয়েক পূর্বপুরুষের বাস ছিল হল্যান্ডে। সেখান থেকে উনিশ শতকের প্রথম দিকে তার এক পূর্বপুরুষ ফ্রান্সে যান। একপর্যায়ে তার বাবা ফরাসি ভাষার শিক্ষকের চাকরি নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। সেখানেই পরিবারটি থিতু হয়। সে সূত্রে তিনি ব্রিটিশ আর ধর্মীয় পরিচয়ে তিনি ছিলেন ইহুদি। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা উভয় ক্ষেত্রেই স্যার পি জে হার্টগ ছিলেন অসাধারণ। তার সময়ের সবচেয়ে আধুনিক শিক্ষা অর্জন করেছিলেন তিনি। মাধ্যমিক শিক্ষা লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ স্কুলে। উচ্চশিক্ষা নেন ফ্রান্সের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ দ্য ফ্রান্স থেকে। সবশেষে তিনি ম্যানচেস্টারের ওয়েলস কলেজে বিশপ বার্কলে স্কলার ছিলেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাতার কর্মজীবনের শুরু ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে রসায়নের সহকারী প্রভাষক হিসেবে। এরপর তিনি শিক্ষকতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যোগ দেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক রেজিস্ট্রার ছিলেন প্রায় ১৭ বছর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর প্রশাসনিক দক্ষতার কথা বিবেচনায় নিয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগকে। চার হাজার টাকা বেতন ও বাসভবন-সুবিধা নিয়ে ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি যোগ দেন কলকাতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প অফিসে। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী লেডি ম্যাবেল হেলেন হার্টগ ও দুই শিশুপুত্র।
১৯২১ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকার বলধার বাগানবাড়ি প্রাঙ্গণে হার্টগ দম্পতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সেদিন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক পটভূমি আপনারা জানেন। নতুন প্রদেশ বাতিলের পর লর্ড হার্ডিঞ্জের কাছে মুসলমান প্রতিনিধিদের আলাপ-আলোচনার ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়।’ তিনি চেয়েছিলেন পূর্ব বাংলায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও জ্ঞানভিত্তিক মধ্যবিত্ত সমাজ গড়ে উঠুক, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে। যাতে তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে আরও বেশি অংশ নিতে পারেন এবং ভবিষ্যতে বাংলার সরকার পরিচালনায় যথেষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |