ফারিয়া আলম

ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সচিব

ফারিয়া আলম (জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬) ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের একজন সাবেক সচিব। ফুটবল কর্মকর্তাদের সাথে একটি যৌন কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তিনি সমালোচিত হন।

ফারিয়া আলম
জন্ম (1966-02-13) ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ (বয়স ৫৮)
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনপোন্টল্যান্ড হাই স্কুল
পরিচিতির কারণপ্রাক্তন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সচিব

প্রেক্ষাপট

সম্পাদনা

যখন ফারিয়া আলম ১৯ বছর বয়সী ছিলেন,[] তখন তার মা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। তার স্বামী ছিলো একজন ভালো ব্যাবসায়ী। কিন্তু ফারিয়া আলম এই বিয়ে মেনে নিলেন না। তিনি তার স্বামীকে ত্যাগ করে ইংল্যান্ডে চলে গেলেন।[]

তারপর তিনি লন্ডনে থাকা শুরু করেন। সেখানে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে রাতে পার্টি করে সময় কাটাতেন।[][]

যৌন-কেলেঙ্কারি

সম্পাদনা

কিছু সময় মডেলিং কাজ করার পর ফারিয়া আলম ফুটবল এসোসিয়েশন এ কাজ পান। তখন ছিলো ২০০৩ সালের জুলাই মাস। তিনি নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ডেভিস এর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর লন্ডনের সোহো স্কয়ারে অবস্থিত।

শীঘ্রই তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক প্যালিওস এর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। এই সম্পর্কের শেষে যে ব্যাপারটি ঘটে তা হলো ইংল্যান্ড ফুটবল দলের ম্যানেজার Sven-Goran Eriksson এর সাথে তার সম্পর্ক তৈরী হয়। এসব সম্পর্কের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তিনি ২০০৪ সালের আগস্টে কাজ থেকে পদত্যাগ করেন।[][]

২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি ফুটবল এসোসিয়েশন এর বিরুদ্ধে অন্যায্য বরখাস্ত, চুক্তিভঙ্গ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি শিল্প ট্রাইব্যুনাল দ্বারা তার দাবি প্রত্যাখ্যাত হয় .[]

সেলিব্রিটি বিগ ব্রাদার ২০০৬

সম্পাদনা

২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ফারিয়া আলম যুক্তরাজ্যের সেলিব্রিটি বিগ ব্রাদার 2006 অনুষ্ঠানে হাজির হন। এরপর ২০০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি,তিনি মন্তব্য করেন যে,ব্রিটিশ জনগনের উচিত হবে না একজন কালো বা এশিয়ানকে বিজয়ী করা।[][][]

ফিল্ম কাজ

সম্পাদনা

২০০৬ সালে ফারিয়া আলম ''ক্যাশ এন্ড কারি'' নামে একটি সিনেমায় কাজ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,"এটা ছিল এমন একটি ভূমিকা যেখানে আমি নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমি এটা গ্রহণ করি আমার জীবন এর অভিজ্ঞতা থেকে"[১০]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

২০০৭ সালে ফারিয়া আলম কানাডায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেওয়ার জন্য ব্রিটেন ত্যাগ করেন। তার এক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো যিনি লস এঞ্জেলস ভিত্তিক একটি ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি চালাতেন। তবে ২০০১০ সালে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন যে, এরিকসন নামের সেই ছেলের সাথে সম্পর্ক তিনি কোনভাবেই নষ্ট করতে পারেন নি।[১১]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Roy, Amit (৯ আগস্ট ২০০৪)। "Faria drags Salman into Sven sleaze fest" (ইংরেজি ভাষায়)। Calcutta, India: টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  2. "Faria Alam" (ইংরেজি ভাষায়)। Biogs। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  3. "PA who wooed FA's most powerful" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  4. Milmo, Cahal (২২ জুন ২০০৫)। "Faria Alam reveals identity of 'third man' who pursued her at Football Association" (ইংরেজি ভাষায়)। The Independent। ২৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  5. "Alam breaks silence on FA affairs" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। ৮ আগস্ট ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  6. "The affair that rocked the FA" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  7. "Faria gets Big Brother Boot" (ইংরেজি ভাষায়)। Daily Mirror। ১৮ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  8. "Sven's Faria Alam goes on Big Brother race rant" (ইংরেজি ভাষায়)। ব্র্যান্ড রিপাবলিক নিউজ। ১৮ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  9. "Faria Alam voted off Big Brother" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। ১৮ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  10. "Faria Alam voted off Big Brother" (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যানচেস্টার ইভেনিং নিউজ। ১৭ আগস্ট ২০০৭। ২১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  11. "Living in exile, consumed by bitterness, why Faria Alam can't escape the toxic legacy of her affair with Sven-Goran Eriksson" (ইংরেজি ভাষায়)। London: ডেইলি মেইল। ২৭ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা