ফাউন্ডেশন সিরিজ
ফাউন্ডেশন সিরিজ আইজাক আসিমভের লেখা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। এই সিরিজের বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। এই সিরিজের প্রথম তিনটি বই ফাউন্ডেশন ট্রিলজি নামে ১৯৬৬ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড সাইন্স ফিকশন কনভেনশন থেকে ভোটের মাধ্যমে বেস্ট অল টাইম সাইন্স ফিকশন সিরিজ হিসেবে হুগো এওয়ার্ড এর জন্য নির্বাচিত হয়।
ফাউন্ডেশন সিরিজের অন্তর্গত বইসম্পাদনা
আইজাক আসিমভ তার প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন গ্রন্থে তার এই সিরিজের বইগুলো কোনটির পর কোনটি পড়লে ভাল তার একটি তালিকা উল্লেখ করেন। এখানে সেই ক্রমানুসারে বইগুলোর তালিকা উল্লেখিত হল। অনেকে অবশ্য মনে করেন প্রকাশনার তারিখ অনুসারেই এগুলো পড়া উচিত। বাংলায় এই ফাউন্ডেশন সিরিজ টির অনুবাদ পাওয়া যায় সন্দেশ প্রকাশনী (বাংলাদেশ) এর থেকে। আসিমভের ছোটোগল্পের সংগ্রহ পাওয়া যায় ঐতিহ্য্ প্রকাশনী (বাংলাদেশ) থেকে। কোলকাতায় বইগুলি পেতে হলে বিশ্ব বংগীয় প্রকাশন (মার্কাস স্কোয়ার) ও নয়া উদ্যোগে (শ্রীমানী মার্কেট, বিধান সরণী) তে যোগাযোগ করতে পারেন।
রোবট সংক্ষিপ্ত সিরিজসম্পাদনা
- আই, রোবট (১৯৫০)
- আর্থ ইস রুম এনাফ(১৯৫৭)
- নাইন টুমরও(১৯৫৭)
- দ্য রেসট অফ দ্য রোবট(১৯৬৪)
- দ্য আরলি আসিমভ(১৯৭২)
- দ্য বেস্ট অফ আসিমভ(১৯৭৩)
- দ্য কমপ্লিট রোবট (১৯৮২)
- দ্য উইন্ড অফ চেইনজ এন্ড আদার স্টোরি(১৯৮৩)
- দ্য অলটারনেট আসিমভ(১৯৮৬)
- দ্য বেস্ট সাইন্স ফিইকশন অফ আইসাক আসিমভ(১৯৮৬)
- রোবট ড্রিম্স (১৯৮৬)
- আযাযিল(১৯৮৮)
- রোবট ভিশন্স (১৯৯০)
- দ্য পজিট্রনিক ম্যান (১৯৯২)
- গোল্ড(১৯৯৫)
- ম্যাজিক(১৯৯৬)
রোবট উপন্যাসমূহসম্পাদনা
- দ্য কেভ্স অফ স্টিল (১৯৫৪)
- দ্য ন্যাকেড সান (১৯৫৭)
- দ্য রোবট্স অফ ডন (১৯৮৩)
- রোবট্স অ্যান্ড এম্পায়ার (১৯৮৫)
ক্যালিবান ত্রয়ীসম্পাদনা
- আইজাক আসিমভ্স ক্যালিবান (১৯৯৩), রজার ম্যাকব্রাইড অ্যালেন রচিত।
- আইজাক আসিমভ্স ইনফারনো (১৯৯৪), রজার ম্যাকব্রাইড অ্যালেন রচিত।
- আইজাক আসিমভ্স ইউটোপিয়া, রজার ম্যাকব্রাইড অ্যালেন রচিত।
গ্যালাক্টিক এম্পায়ার সিরিজসম্পাদনা
- দ্য স্টার্স, লাইক ডাস্ট (১৯৫১)
- দ্য কারেন্ট্স অফ স্পেস (১৯৫২)
- পেব্ল ইন দ্য স্কাই (১৯৫০)
ফাউন্ডেশন উপন্যাসসমূহসম্পাদনা
- প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন (১৯৮৮)
- ফরওয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশন (১৯৯৩)
ফাউন্ডেশন ত্রয়ীসম্পাদনা
- ফাউন্ডেশন (১৯৫১)
- ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এম্পায়ার (১৯৫২)
- সেকেন্ড ফাউন্ডেশন (১৯৫৩)
দ্বিতীয় ফাউন্ডেশন ত্রয়ীসম্পাদনা
- ফাউন্ডেশন্স ফেয়ার (১৯৯৭), গ্রেগরি বেনফোর্ড রচিত
- ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ক্যাওস (১৯৯৮), গ্রেগ বিয়ার রচিত
- ফাউন্ডেশন্স ট্রায়াম্ফ (১৯৯৯), ডেভিড ব্রিন রচিত।
আসিমভের চূড়ান্ত ফাউন্ডেশন বইসমূহসম্পাদনা
- ফাউন্ডেশন্স এজ (১৯৮২)
- ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আর্থ (১৯৮৬)
- প্রিলিয়ড টু ফাউন্ডেশন
রচনাকালসম্পাদনা
ফাউন্ডেশন সিরিজের প্রথমদিকের গল্পগুলো প্রকাশিত হয় এস্টাউন্ডিং পত্রিকার ১৯৪২ সালের মে-জুন সংখ্যায়। ১৯৫১, ১৯৫২ এবং ১৯৫৩ সালে যথাক্রমে ফাউন্ডেশন, ফাউন্ডেশন এন্ড এম্পায়ার এবং সেকেন্ড ফাউন্ডেশন বই আকারে প্রকাশিত হয়। এর পরে আসিমভ ফাউন্ডেশন লেখা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ সময় পর আবার লেখা শুরু করেন ভক্ত ও প্রকাশকদের চাপে। ফলশ্রুতিতে প্রকাশ পায় ফাউন্ডেশন এজ (১৯৮১), ফাউন্ডেশন এন্ড আর্থ(১৯৮৬), প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন(১৯৮৮), ফরওয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশন(১৯৯৩)। শেষ দুইটি বই ছিল প্রথম বই ফাউন্ডেশন -এর প্রিকুয়াল।
সার সংক্ষেপসম্পাদনা
প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশনসম্পাদনা
গ্যালাকটিক এরার ১২,০২০ সালে ট্রানটরে পদার্পণ করেন গণিতবিদ হ্যারি সেলডন তার বিখ্যাত থিওরি অব প্রেডিকশন নিয়ে। কিন্তু নিজের বিস্ময়কর মেধার কারণে তাকে পরিণত হতে হয় মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিতে। যখন তিনি বুঝতে পারেন তার আবিস্কারের গুরুত্ব তখন সিদ্ধান্ত নেন এর উৎকর্ষ সাধনের। তার বিপরীতে যখন স্বয়ং গালাক্সীর সম্রাট তখন সাহায্য পান এক অদ্ভুত ক্ষমতাধর ব্যক্তির।
ফরওয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশনসম্পাদনা
ফাউন্ডেশনসম্পাদনা
ত্রয়োদশ সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে মানুষ বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতায় পৌছে যায়। মানুষ গ্যালাক্সীর বেশিরভাগ গ্রহে বসতি করতে সক্ষম হয়। তার মধ্যে অধিকাংশ গ্রহই গ্যালাকটিক এম্পায়ারের শাসনভুক্ত। সেই সময়ে গ্যালাকটিক এম্পায়ারের রাজধানী ট্রানটরে আবির্ভাব হয় সাইকোহিস্ট্রির জনক হ্যারী সেলডনের। তিনি সাইকোহিস্ট্রির মাধ্যমে ভবিষ্যতবানী করেন- শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে ত্রিশ হাজার বছর স্থায়ী চরম আরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এর থকে উদ্ধারের পথ তিনিই বলে দেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন শক্তি। তার দেখানো পথে এগিয়ে চলে ফাউন্ডেশন- যা হবে নতুন সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
ফাউন্ডেশন এন্ড এম্পায়ারসম্পাদনা
উন্নত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের সহায়তায় ফাউন্ডেশন যখন আশেপাশের রাজ্যগুলোতে প্রভাব বিস্তার করেতে সমর্থ হয়, তখনই তাদের মুখোমুখি হয় এম্পায়ার। এম্পায়ারের উচ্চাভিলাষি এক জেনারেল আক্রমণ করতে উদ্যত হয় নিরস্ত্র ফাউন্ডেশনকে। সেই সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই ফাউন্ডেশন তার অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে এক অস্বাভাবিক ক্রিয়েচারের সামনে যা একটি মিউট্যান্ট ইন্টেলিজেন্স। যে তার অসাধারণ মেন্টাল পাওয়ার দিয়ে ফাউন্ডেশনকে নিয়ে যায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সেখানে তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে সেলডনের-ই একটি গোপন প্রজেক্ট।
সেকেন্ড ফাউন্ডেশনসম্পাদনা
গ্যালাকটিক এম্পায়ার যখন ভেঙ্গে পড়ছে তখন নতুন সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ফাউন্ডেশনকেও ধ্বংসের মুখোমুখি করে মিউল-মিউট্যান্ট ইন্টেলিজেন্স। তখন ফাউন্ডেশনকে আবার আগের লক্ষ্যে ফিরিয়ে আনতে আত্মপ্রকাশ করে নতুন এক শক্তি সেকেন্ড ফাউন্ডেশন- যা হ্যারি সেলডনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে মেন্টাল সাইন্টিস্টদের নিয়ে। ফাউন্ডেশন এর প্রয়োজনে যাদেরকে গোপন করে রাখা হয়েছিল।
ফাউন্ডেশন এজসম্পাদনা
গ্যালাক্সিতে ফাউন্ডেশন সবচেয়ে বড় শক্তিতে পরিণত হয়। যাদের শক্তি ও প্রভাব আগের সাম্রাজ্য এম্পায়ার এর চাইতেও সুষম। এমতাবস্থায় ফাউন্ডেশন এর রাজধানী টার্মিনাসের কাউন্সিলম্যান গোলান ট্রাভিজ মনে করেন সেকেন্ড ফাউন্ডেশন এর অস্তিত্ব রয়েছে। তার এই ধারণার কথা মেয়রের কাছে ফাস হয়ে গেলে ট্রভিজকে মেয়র অত্যাধুনিক মাহাকাশযান দিয়ে নির্দেশ দেন সেকেন্ড ফাউন্ডেশন খুজে বের করার জন্য। তাকে অনুসরণ করে প্রথম ও দ্বিতীয় ফাউন্ডেশন পরস্পরের মুখোমুখি হয়। উভয়েই চায় একে অপরকে ধ্বংস করতে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাভিজকে নিতে হয় গ্যালাক্সির ভাগ্য নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
ফাউন্ডেশন এন্ড আর্থসম্পাদনা
গোলান ট্রাভিজ এর নতুন অভিযান শুরু হয় এক অভিনব প্রশ্নকে সামনে রেখে। মানবজাতির আদি গ্রহ- প্ল্যানেট অব অরিজিন এর খোঁজে ট্রাভিজের সঙ্গী হয় জেনভ পোলারেট। মুখোমুখি হয় আদি গ্রহ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কারের।