প্রেরিতগণ
প্রেরিতগণ (ইংরেজি: Apostles, প্রাচীন গ্রিক: ἀπόστολος, আরামীয়: ܬܪܥܣܪ ܫܠܝܚ̈ܐ, আরবি: التلاميذ الإثنا عشر; প্রেরিতবর্গ, বারো প্রেরিত, বারো শিষ্য বা শুধু বারো নামেও পরিচিত) ছিলেন খ্রীষ্টীয় ধর্মতত্ত্ব ও মণ্ডলীতত্ত্বে নূতন নিয়ম অনুসারে যীশুর প্রাথমিক শিষ্যগণ। খ্রীষ্টীয় ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি ইসলামি ধর্মতত্ত্বও পবিত্র কোরআন অনুসারে প্রেরিতদের হাওয়ারি (আরবি: الحواريون, প্রতিবর্ণীকৃত: al-ḥawāriyyūn) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[১] খ্রীষ্টীয় ১ম শতাব্দীতে যীশুর জীবন ও পরিচর্যার সময় প্রেরিতগণ ছিলেন তাঁর সবচেয়ে কাছের অনুসারী এবং যীশুর সুসমাচারের বাণীর প্রারম্ভিক শিক্ষক।[২]
বাইবেলীয় আখ্যান
সম্পাদনাবারোজন শিষ্যের প্রেরিত-পদে নিয়োগ
সম্পাদনাপ্রেরিতগণকে নিযুক্তকরণ হল যীশুর পরিচর্যার একটি পর্ব যা সকল সংক্ষেপিত সুসমাচারে আবির্ভূত হয়: মথি ১০:১–৪, মার্ক ৩:১৩–১৯ ও লূক ৬:১২–১৬। এটি যীশুর শিষ্যদের মধ্য থেকে দ্বাদশ প্রেরিতের প্রাথমিক মনোনয়নকে নির্দেশ করে।[৩][৪]
সাধু লূক লিখিত সুসমাচার অনুসারে:
সেই সময়ে তিনি একদা প্রার্থনা করণার্থে বাহির হইয়া পর্বতে গেলেন, আর ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিতে করিতে সমস্ত রাত্রি যাপন করিলেন। পরে যখন দিবস হইল, তিনি আপন শিষ্যগণকে ডাকিলেন, এবং তাঁহাদের মধ্য হইতে বারো জনকে মনোনীত করিলেন, আর তাঁহাদিগকে ‘প্রেরিত’ নাম দিলেন— শিমোন, যাঁহাকে তিনি পিতর নামও দিলেন, ও তাঁহার ভ্রাতা আন্দ্রিয়, এবং যাকোব ও যোহন, এবং ফিলিপ এবং বর্থলময়, এবং মথি ও থোমা, এবং আল্ফেয়ের [পুত্র] যাকোব ও উদ্যোগী আখ্যাত শিমোন, যাকোবের [পুত্র] যিহূদা, এবং ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা, যে তাঁহাকে [শত্রুহস্তে] সমর্পণ করে। —লূক ৬:১২–১৬[৫]
সাধু মথি লিখিত সুসমাচারে এই ঘটনাটি যীশু কর্তৃক একজন শুষ্কহস্ত লোককে আরোগ্যদানের অলৌকিক কাজটির কিছুক্ষণ পূর্বে সংঘটিত হয়। সাধু মার্ক ও লূক লিখিত সুসমাচারে এটি যীশুর অলৌকিক কার্যাবলির পরে অনুষ্ঠিত হয়।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Historical Dictionary of Prophets In Islam And Judaism, Brandon M. Wheeler, Disciples of Christ: "Islam identifies the disciples of Jesus as Peter, Philip, Andrew, Matthew, Thomas, John, James, Bartholomew, and Simon"
- ↑ ""Apostle", Britannica.com"। ৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০।
- ↑ Riley, Harold. 1992. The First Gospel. আইএসবিএন ০-৮৬৫৫৪-৪০৯-৩. p. 47.
- ↑ Mills, Watson E., and Roger Aubrey Bullard. 1998. Mercer Dictionary of the Bible. আইএসবিএন ০-৮৬৫৫৪-৩৭৩-৯. p. 48
- ↑ New International Version, online at Bible gateway ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে
- ↑ Strauss, David Friedrich. 1860. The Life of Jesus. Published by Calvin Blanchard. p. 340.