প্রেমতোষ বসু
প্রেমতোষ বসু (? - ১৫ এপ্রিল, ১৯১২) একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, জাতীয়তাবাদী সমাজকর্মী ও কবি।
প্রেমতোষ বসু | |
---|---|
জন্ম | ? |
মৃত্যু | ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ |
আন্দোলন | জাতীয়তাবাদী |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাপিতার নাম রাইচরন বসু। প্রেমতোষ বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বাংলা এবং ইংরেজি লেখায় বিশেষ দখল ছিল তার। তাদের পারিবারিক ছাপাখানার ব্যবসা ছিল। সন্ধ্যা পত্রিকা তাদের Acme প্রেস থেকে ছাপা হত। ছাত্রাবস্থায় তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ হয়। তাদের বন্ধুত্ব ছিল দীর্ঘকাল। রবীন্দ্রনাথের বই ছাপা হত তাদের প্রেস থেকে। 'ক্ষণিকা' কাব্যগ্রন্থ তিনিই প্রকাশ করেন। কবির দ্বিতীয়া কন্যা রেনুকার বিবাহের যোগাযোগ প্রেমতোষ দায়িত্ব নিয়ে করেছিলেন তার আত্মীয়ের সাথে।
সাহিত্য সাধনা
সম্পাদনাকবিতা লেখাতে সুনাম ছিল তার। শিবাজী উৎসব উপলক্ষ্যে ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিপ্লবী সখারাম গনেশ দেউস্কর 'শিবাজীর দীক্ষা' নামক কাব্যসংকলন বের করলে রবীন্দ্রনাথের সাথে তার কবিতাও স্থান পায়।[১]
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড
সম্পাদনাস্বদেশী আন্দোলন ও সশস্ত্র বিপ্লবীদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ছিল প্রেমতোষ বসুর। কাষ্ঠব্যবসায়ী কলকাতাবাসী ধনবান পিতার বহু সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে দেন বিপ্লবীদের টাকা পয়সার জোগাড় করার মহান উদ্দেশ্যে। অস্ত্র সংগ্রহ ও বোমা প্রস্তুতের জন্যে অনেক অর্থ ব্যয় করেন তিনি। শহীদ বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্যে অর্থদান করেন। ১৯০৭ সালে বার্ন ও ই.আই.আর ধর্মঘট এবং সরকারি প্রেস ধর্মঘটের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।[২] আলিপুর বোমা মামলার পর ব্যারিস্টারি পড়ার অজুহাতে দেশ ত্যাগ করেছিলেন।[৩]
মৃত্যু
সম্পাদনাইংল্যান্ড গিয়ে চরম আর্থিক দুরবস্থায় পড়েন প্রেমতোষ বসু। ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে উপযুক্ত শীতবস্ত্রের অভাবে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে বয়েস হয়েছিল আনুমানিক ৫২ বছর।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (২০১৬)। নির্বাচিত এক্ষণ ১। কলকাতা: সপ্তর্ষি প্রকাশন।
- ↑ Educational and Informational Articles (3 March 2014)। "Labor Movement in India"। ১০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 27.01.17। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩১৯।