প্রাণকৃষ্ণ পাল (ইংরেজি: Prankrishna Pal) (২৯ এপ্রিল , ১৯১৫ - ১৯৮৮) ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী। ভারতীয় আধুনিকতাবাদী নব্যভাবাপন্ন চারুকলা সংস্থা কলকাতা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। []

প্রাণকৃষ্ণ পাল
জন্ম(১৯১৫-০৪-২৯)২৯ এপ্রিল ১৯১৫
মৃত্যু১৯৮৮
কলকাতা
পেশাচিত্রকর
পিতা-মাতাহরেকৃষ্ণ পাল (পিতা)
সুবাসিনী দেবী (মাতা)
পুরস্কারনর্মান ব্লান্ট স্মৃতি পদক (১৯৩৬)

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

প্রাণকৃষ্ণ পালের জন্ম ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে এপ্রিল বৃটিশ ভারতের কলকাতায়। পিতা হরেকৃষ্ণ পাল ও মাতা সুবাসিনী দেবী। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্টে ভর্তি হন। সেসময় সেখানকার অধ্যক্ষ ছিলেন ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার। পাঁচ বৎসর তিনি নব্যবঙ্গীয় রীতিতে চিত্রকলায় শিক্ষা লাভের পর ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ডিপ্লোমা লাভ করেন। "বিষ্ণু" ছিল তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ চিত্র। ছাত্রবস্থাতেই ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি "হিন্দোল" চিত্রের জন্য ইন্ডিয়ান সোসাইটির "নর্মান ব্লান্ট " পদক লাভ করেন।

শিল্পকর্ম

সম্পাদনা

প্রাণকৃষ্ণ পাল মোগল ও রাজস্থানীয় রীতিতে চিত্র রচনা করেন। পরবর্তীকালে তেলরং ও টেম্পেরার মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং নব্যভাবাপন্নদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি আশুতোষ মিউজিয়ামে শিল্পীর পদে নিযুক্ত হন। মিউজিয়ামের জন্য লোকশিল্পের নিদর্শন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ভ্রমণ করেন। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও বাংলায় দুর্ভিক্ষ গণহত্যা ইত্যাদির সময় সুভো ঠাকুর, নীরদ মজুমদার, প্রদোষ দাশগুপ্ত, পরিতোষ সেন , গোপাল ঘোষ , রথীন মৈত্র ও তাঁকে নিয়ে কলকাতায় ক্যালকাটা গ্রুপ নামে এক চারুকলা শিল্পগোষ্ঠী গড়ে ওঠে।

তার আঁকা বহু চিত্র দিল্লির 'ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, কলকাতার আশুতোষ মিউজিয়ামে, পাতিয়ালা ও রামপুর স্টেট গ্যালারি, যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস প্রভৃতি বহু স্থানে সংগৃহীত হয়েছে। পূর্বতন বড়লাট-পত্নী কাউন্টেস অফ উইলিংটনও প্রাণকৃষ্ণ পালের আঁকা চিত্র সংগ্রহ করেছেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

প্রাণকৃষ্ণ পাল ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের পরলোক গমন করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২৩৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬