প্রাণকৃষ্ণ পারিজা

প্রাণকৃষ্ণ পারিজা (১ এপ্রিল ১৮৯১ - ২ জুন ১৯৭৮) ছিলেন একজন ভারতীয় উদ্ভিদবিদ।

প্রাণকৃষ্ণ পারিজা
জন্ম(১৮৯১-০৪-০১)১ এপ্রিল ১৮৯১
মৃত্যু২ জুন ১৯৭৮(1978-06-02) (বয়স ৮৭)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনরেভেনশ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারপদ্মভূষণ (১৯৫৫)
অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারের কর্মকর্তা (ওবিই; ১৯৪৪)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রউদ্ভিদবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহরেভেনশ বিশ্ববিদ্যালয়
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়
উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য: ১ম ওড়িশা বিধানসভা
কাজের মেয়াদ
১৯৫২ – ১৯৫৭
সংসদীয় এলাকাবালিকুদা

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

প্রাণকৃষ্ণ পারিজা ১৮৯১ সালের ১ এপ্রিল জগৎসিংহপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[১][২][৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

তার গবেষণার কাজটি মূলত উদ্ভিদের শারীরবৃত্তবিদ্যা এবং ব্যবহারিক দিকগুলি নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে পরীক্ষামূলক উদ্ভিদ আকারবিদ্যা এবং উদ্ভিদের পরিবেশগত অধ্যয়ন। তিনি কচুরিপানা এবং অন্যান্য জলজ আগাছার পাতার শ্বসন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন। গাছপালা, ধান এবং শেওলার বাষ্পমোচন এবং তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়েও তার কাজ রয়েছে। এছাড়া আপেলের শ্বসন ও সংরক্ষণ নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।[৪]

তিনি উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] কটকের র‍্যাভেনশ বিশ্ববিদ্যালয়ে (পূর্বে র‍্যাভেনশ কলেজ) অধ্যক্ষেরও দায়িত্বে ছিলেন।[৬][৭] তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের দায়িত্বভার সামলেছেন।[৮] তিনি ভুবনেশ্বরের উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।[৯] এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পারিজা লাইব্রেরি’ তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।[১০] তিনি ১৯৬০ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদে ছিলেন।[১১] তিনি প্রথম ওড়িশা বিধানসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।[১২]

সম্মাননা এবং পুরস্কার সম্পাদনা

  • ফার্নসাইডস স্কলারশিপ (১৯১৮), ক্রাইস্টস কলেজ, কেমব্রিজ, স্নায়ুতন্ত্রের জৈব রোগের ক্ষেত্রে ক্লিনিকাল গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য একটি বৃত্তি।[১৩]
  • অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই), ১৯৪৪ সালে নববর্ষের সম্মান।[১৪]
  • পদ্মভূষণ, ১৯৫৫[১৫]


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. 1948-1981। Universities Press। ২০০৩। পৃষ্ঠা 812–। আইএসবিএন 978-81-7371-433-7। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৩ 
  2. "Directory of Eminent Personalities of the District"jagatsinghpur.nic.in। ১৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৩Dr. Pranakrushna Parija Balikuda 
  3. Balikuda locals remember son of the soil Dr Parija
  4. "INSA :: Deceased Fellow Detail"insaindia.res.in। ২০১৯-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৭ 
  5. K. M. George; Sāhitya Akādemī (১৯৯২)। Modern Indian Literature, an Anthology। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 319–। আইএসবিএন 978-81-7201-324-0। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২ 
  6. "Vanivihar Homepage"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৩ 
  7. Harish Chandra Das; State Level Vyasakabi Fakir Mohan Smruti Samsad (২০০৩)। The cultural heritage of Khurda। State Level Vyasakabi Fakir Mohan Smruti Samsad। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২ 
  8. Indian Science Congress Association (২০০৩)। The Shaping of Indian Science: 1948-1981। Universities Press। পৃষ্ঠা 812। আইএসবিএন 9788173714337। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  9. Lakshmikanta Mahapatra (১৯৮৮)। Songs of the soul। Kantakabi Centenary Celebration Committee। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১২ 
  10. P.G. Rama Rao। "Among celebrities"The Telegraph। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১০ 
  11. "Government of India,Indian Science Congress"sciencecongress.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৭ 
  12. List of members of OLA, 1951-2004 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-১২-১৭ তারিখে
  13. The historical register. Supplement. University of Cambridge; University of Cambridge. Cambridge University calendar. Supplement; University of Cambridge. Index to tripos lists, 1748–1910. Supplement. Cambridge University Press. University of Cambridge. 1911–1920
  14. "নং. 36309"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৩। 
  15. "Padma Bhushan Awardees"। Ministry of Communications and Information Technology। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০০৯