প্রাকৃতিক দর্শন এবং প্রকৃতির দর্শন (লাতিন ভাষায়: Philosophia naturalis) ছিল প্রকৃতি তথা সমগ্র ভৌত বিশ্ব বিষয়ক অধ্যয়ন। আধুনিককালে যাকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বা পদার্থবিজ্ঞান বলা হয় তা-ই একসময় ছিল প্রাকৃতিক দর্শন। প্রাকৃতিক দর্শনকে বলা যায় আধুনিক বিজ্ঞানের পূর্বসূরী। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র থেকে শুরু করে অনেক বড়- সকল বস্তুর গঠন এবং কার্যকারিতা নিয়ে জ্ঞানের এই শাখায় আলোচনা করা হতো।

ফিলোসোফিয়া নাতুরালিস প্রিংকিপিয়া মাথেমাটিকা

যেমন ইংরেজ বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন ফিলোসোফিয়া নাতুরালিস প্রিংকিপিয়া মাথেমাটিকা যাকে বাংলা করলে দাঁড়ায় প্রাকৃতিক দর্শনের গাণিতিক নীতিসমূহ। গণিতের মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক সূত্র আবিষ্কার করলেও তিনি এই জ্ঞানকে প্রাকৃতিক দর্শন নামেই আখ্যায়িত করেছিলেন। ফ্রান্সিস বেকন ও মনে করতেন তিনি প্রাকৃতিক দর্শনের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সেই যুগে এমনকি প্রাকৃতিক ইতিহাস এবং রসায়নকে আলাদা করে দেখার কোন উপায় ছিল না। এমনকি ভ্রমণ কাহিনীও প্রাকৃতিক দর্শনের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বলে গণ্য হতো।[]

মার্টিন হাইডেগার লক্ষ্য করেছিলেন যে গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল প্রকৃতি নামক ধারণাটির জনক এবং এই ধারণাটিই মধ্যযুগে ও আধুনিক যুগের পত্তনের পূর্ব পর্যন্ত প্রভাবশালী ছিল। তিনি বলেন:

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Natural Philosophy, Origin of Modernity ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ মার্চ ২০১২ তারিখে, University of Sydney
  2. Martin Heidegger, The Principle of Reason, trans. Reginald Lilly, (Indiana University Press, 1991), 62-63.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা