প্রশান্ত মহাসাগরের যুদ্ধ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধ (ইংরেজি: The War of the Pacific) ১৮৭৯ সাল থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত চিলির সাথে বলিভিয়া ও পেরুর যৌথবাহিনীর মধ্যবর্তী সংঘটিত যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে চিলি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চল দখল করতে সক্ষম হয়। চিলি পেরুর তারাপাকা ও বলিভিয়ার উপকূলীয় আন্তোফাগাস্তা অঞ্চল দখল করে। যুদ্ধশেষে বলিভিয়া সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
যুদ্ধের কারণে অধিকৃত এলাকার হাতবদলের মানচিত্র[১] | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
পেরু বলিভিয়া | চিলি | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
হুয়ান বুয়েন্দিয়া, আন্দ্রেস আবেলিনো কাসেরেস, মিগেল গ্রাউ সেমিনারিও |
মানুয়েল বাকেদানো, পাত্রিসিও লিঞ্চ, হুয়ান উইলিয়াম্স | ||||||||
শক্তি | |||||||||
পেরুভীয়-বলিভীয় সেনাবাহিনীর ৭,০০০ সৈন্য (১৮৭৮) পেরুভীয় নৌবাহিনী: ২টি আয়রনক্ল্যাড, ১টি কর্ভেট, ১টি গানবোট |
চিলির সেনাবাহিনীর ৪,০০০ সৈন্য (১৮৭৮) চিলীয় নৌবাহিনী: ২টি যুদ্ধজাহাজ, ৪টি কর্ভেট, ২টি গানবোট | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
৩৫,০০০ পেরুভীয় নিহত ও আহত। ৫,০০০ বলিভীয় নিহত ও আহত। | ১৫,০০০ চিলীয় নিহত। |
পটাশিয়াম নাইট্রেট তথা সল্টপিটার-সমৃদ্ধ খনিজ এলাকা দখলের জন্য এই যুদ্ধ হয়েছিল বলে এটিকে সল্টপিটার যুদ্ধ নামেও কখনো কখনো ডাকা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ আতাকামা মরুভূমির যে অংশটি পরে আর্জেন্টিনাকে দিয়ে দেয়া হয়, তা দেখানো হয় নি।