প্রভা আর চ্যাটার্জি হলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী। তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালোরের জন এফ ওয়েলচ টেকনোলজি সেন্টারে (পূর্বের জেনারেল ইলেকট্রিক গ্লোবাল রিসার্চ অ্যাণ্ড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার) কর্মরত।[১]

প্রভা চ্যাটার্জি
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা
পুরস্কারভাস্বিক পুরস্কার, এমআরএসআই লেকচার পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপলিমার রসায়ন, রসায়ন, পলিমার উপকরণ
প্রতিষ্ঠানসমূহজেনারেল ইলেকট্রিক

তিনি পূর্বে হায়দ্রাবাদের ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজিতে একজন বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি ভারতের সোসাইটি ফর বায়োমেটেরিয়ালস অ্যাণ্ড আর্টিফিশিয়াল অর্গানস-এর নির্বাহী কমিটির প্রাক্তন সদস্য ছিলেন।[২][৩] তিনি প্রাথমিকভাবে ভারতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত কাজ করেন।[১]

শিক্ষা সম্পাদনা

তিনি কেরালার ওটাপ্পালমের কাছে একটি অনিরূপিত গ্রামের একটি ছোট কলেজ থেকে স্নাতক হন। একজন কলেজ ছাত্রী হিসেবে, তিনি ব্যাঙ্গালোরের ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর কাছ থেকে জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিভা অনুসন্ধান বৃত্তি লাভ করেন। বৃত্তি তাঁকে ১৯৭৭ সালে স্নাতকোত্তর করতে সাহায্য করেছিল।[৪] পরবর্তীকালে বিজ্ঞানে কর্মজীবন গড়তেও এই বৃত্তির অবদান ছিল।[৫]

কর্মজীবন সম্পাদনা

প্রভার কর্মজীবনের গতিপথ শিক্ষায়তন থেকে শুরু ক'রে সরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন এবং তারপর শিল্পক্ষেত্র পর্যন্ত পৌঁছেছে।[৫] তিনি শিল্প গবেষণার জন্য ভাস্বিক পুরস্কার এবং এমআরএসআই লেকচার পুরস্কার পেয়েছেন।[৪] তিনি ভারতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার নীতির সাথেও জড়িত।[৪]

কাজ সম্পাদনা

প্রভা চ্যাটার্জি ৪১টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর এইচ-ইনডেক্স ১৬ (লেখক-স্তরের মেট্রিক যা লেখকের প্রকাশনাগুলির উৎপাদনশীলতা এবং উদ্ধৃতি প্রভাব উভয়ই পরিমাপ করে)।

  • চ্যাটার্জি,, প্রভা আর (১৯৮৯)। "জিলেটিন উইথ হাইড্রোফিলিক/হাইড্রোফোবিক গ্রাফ্টস অ্যাণ্ড গ্লুটারালডিহাইড ক্রসলিঙ্কস": ২২০৩ – ২২১২। ডিওআই:10.1002/app.1989.070370812 
  • চ্যাটার্জি, প্রভা আর (৫ আগস্ট ১৯৯০)। "ইন্টারপেনিট্রেটিং হাইড্রোজেল নেটওয়ার্ক.I.দ্য জিলেটিন–পলিঅ্যাক্রিলামাইড সিস্টেম": ৪০১–৪১০। ডিওআই:10.1002/app.1990.070400308 

পুরস্কার সম্পাদনা

প্রভা চ্যাটার্জি ভাস্বিক পুরস্কার (শিল্প গবেষণা)[৩] এবং এমআরএসআই লেকচার পুরস্কারের প্রাপক।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Prabha Chatterji"Women in science: an Indian Academy of Sciences initiative। Indian Academy of Sciences। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৪ 
  2. "Executive committee for 2011-2014"Society for Biomaterials and Artificial Organs - India। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৪ 
  3. "Smt. Chandaben Mohanbhai Patel Industrial Research Award for Women Scientists"। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৪ 
  4. "The Women Scientists of India | Women in Science | Initiatives | Indian Academy of Sciences"www.ias.ac.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২০