প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণা

প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণা (জুলাই ১৮৯৪ গুপ্তিপাড়া,হুগলি–৩০ জানুয়ারি ১৯৭৩ দক্ষিণেশ্বর,কলকাতা) ছিলেন হিন্দু  ধর্মীয় সংগঠন শ্রীসারদা মঠের প্রথম অধ্যক্ষা।[১] এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এর সভানেত্রী ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার জন্ম ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ায়। তার পিতৃদত্ত নাম ছিল পারুল। তার বাল্য ও কৈশোর কাটে কলকাতার বাগবাজারের বোসপাড়ায় মাতামহের গৃহে।  বিদ্যাচর্চার শুরু মিশনারি স্কুলে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বোসপাড়া লেনে ভগিনী নিবেদিতা বিদ্যালয় খুললে তিনি সেখানে ভরতি হন। ব্রাহ্মণ কন্যা – বাল্যেই বিবাহ হয়। কিন্তু ১৭ বৎসর বয়সে শ্রীমা সারদামণির কাছে মন্ত্রদীক্ষা নিয়ে সংসার ত্যাগ করেন। নিবেদিতার সহকর্মিনী ভগিনী সুধীরা দেবী তার নতুন নাম দেন সরলা। ১৯১৪ –১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি লেডি ডাফরিন হাসপাতালে ধাত্রীবিদ্যা ও শুশ্রূষাকাজে শিক্ষা নেন এবং সেই সাথে সারদা দেবীর সেবা করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের পর প্রায় ৩০ বৎসর কাশীতে সাধনভজনে কাটান। [২] তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে দীক্ষা নেন এবং ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে শঙ্করানন্দ বেলুড় মঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে সন্ন্যাস-দীক্ষা দিয়ে নাম রাখেন প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণা পুরী। ওই বছর ২৬শে আগস্ট  রামকৃষ্ণ-সারদা মিশন স্বয়ংসম্পূর্ণ সংস্থা হিসাবে  হিসাবে  পরিণত  হলে তিনি সারদা মঠ ও মিশনের প্রথম অধ্যক্ষা হন। কলকাতা, দক্ষিণ ভারত ও দিল্লি মিশনের শাখা কেন্দ্রগুলি তিনি পরিদর্শন করতেন। শঙ্করানন্দের নির্দেশে দীক্ষাদানে ব্রতী হন।

তিনি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে জানুয়ারি শ্রী সারদা মঠ,(দক্ষিণেশ্বর) এ অধ্যক্ষ থাকাকালীন প্রয়াত হন।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. A Blessed Life, Biography of Pravrajika Bharatiprana (Pravrajika Jnanadaprana, Sri Saradaa Math: Dakshineswar, 2012), p.133
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট  ২০১৬, পৃষ্ঠা ৫১৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬