সমকামিতায় পায়ুকাম

পায়ুকাম মানব-সভ্যতায় অনেক আগে থেকেই ছিলো। সাধারণত পুরুষ-সমকামিতায় এই ধরণের ক্রিয়াকলাপ দেখা গেলেও বিষমকামী সম্পর্কেও পায়ুকাম দেখা যায়। অনেকেই পায়ুকামকে মানবযৌনপ্রকৃতির অস্বাভাবিক একটি আচরণ বলে অভিহিত করে থাকেন কিংবা অনেকে একে প্রকৃতিবিরুদ্ধও বলেন, আসলে পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশের আকাঙ্ক্ষা অপ্রাকৃতিক নয় কিংবা অস্বাভাবিকও নয় তবে পায়ুকাম পায়ুপথের ক্ষতি করে, এর কারণে মলত্যাগে অসুবিধা হতে পারে কিংবা পায়ুবিদার হতে পারে অথবা পায়ুপথে অর্শ্বরোগ হতে পারে অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর্কট রোগও হতে পারে।

অন্যান্য পায়ুকামের মধ্যে রয়েছে পায়ুপথের গন্ধ শোকা বা পায়ুপথ চোষা। এই দুটি ক্রিয়া তেমন একটা ক্ষতিকর না হলেও মলদ্বার চোষার ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুখে ঘা হতে পারে।

পায়ুকামিতা আইন নামের একটি আইন আজও বিশ্বের অনেক দেশেই বলবৎ রয়েছে যে আইন অনুযায়ী পায়ুকামিতা আইনগতভাবে অবৈধ।


প্রেমমূলক অথবা কামদ চিত্রকলার ইতিহাসে পটচিত্র, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, নাটক, সঙ্গীত এবং পুঁথি রয়েছে তা তৎকালীন থেকে সমসাময়িক সময়ের ধারার যৌন প্রকৃতির দৃশ্যগুলি দেখায়। তারা প্রায় সমস্ত প্রাচীন এবং আধুনিক সভ্যতা দ্বারা নির্মিত হয়েছে। পূর্বোক্তন সংস্কৃতিতে প্রায়শই দেখা যায় যৌন আচরণগুলি অতিপ্রাকৃত শক্তির সঙ্গে জড়িত এবং এইভাবেই তাদের ধর্ম এই ধরনের চিত্রকলার সঙ্গে বিজড়িত হয়। ভারতবর্ষ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপান এবং চীন এশিয়ার মহাদেশের এই দেশগুলিতে যৌনতা এবং কামদ শিল্পের উপস্থাপনা স্থানীয় ধর্মের আধ্যাত্মিক অর্থের মধ্যে নির্দিষ্ট রয়েছে। প্রাচীন গ্রীক ও রোমানরা অনেক শিল্প এবং কামদ প্রকৃতি প্রসাধনের সৃষ্টি করেছিলেন যার বেশিরভাগই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলনের মধ্যে সংহিত হয়েছিল।


কোনো সমাজে ট্যাবু হল একটি অন্তর্নিহিত নিষেধ বা ধর্মীয় বা সামাজিক বেড়াজাল অতিক্রম বা কোনো কিছুর বিরুদ্ধে নিরুৎসাহিত সাংস্কৃতিক অনুভূতি, যা খুবই বিপদজনক বা বীভৎস, বা সম্ভবত সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বা অপবিত্র বিবেচনাবোধ। কার্যত সকল সমাজে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বর্তমান রয়েছে। বাংলাদেশের সমাজে নারীদেহ, প্রেম এবং যৌনতা ট্যাবু হিসেবে বিবেচিত।