কবিতা (গ্রিক: "ποίησις," poiesis, "নির্মাণ" অথবা "তৈরি করা"; ইংরেজি: Poetry) শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষারনান্দনিক গুণাবলীর ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়। কবিতার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, এবং কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যেমন এরিস্টটলেরপোয়েটিকস্, অলঙ্কারশাস্ত্র, নাটক, সংগীত এবং হাস্যরসাত্মক বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যবহারসমূহের ওপর দৃষ্টিপাত করে। কবিতা সম্ভবত সাহিত্যের আদিমতম শাখা।
উইলিয়াম শেকসপিয়র (বাপ্তিস্ম ২৬ এপ্রিল, ১৫৬৪; মৃত্যু ২৩ এপ্রিল, ১৬১৬) ছিলেন একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তাঁকে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং বিশ্বের একজন অগ্রণী নাট্যকার মনে করা হয়। তাঁকে ইংল্যান্ডের "জাতীয় কবি" এবং "বার্ড অফ অ্যাভন" (অ্যাভনের চারণকবি) নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাঁর যে রচনাগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যানকবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। কয়েকটি লেখা শেকসপিয়র অন্যান্য লেখকদের সঙ্গে যৌথভাবেও লিখেছিলেন। তাঁর নাটক প্রতিটি প্রধান জীবিত ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অপর যে কোনো নাট্যকারের রচনার তুলনায় অধিকবার মঞ্চস্থ হয়েছে।
শেকসপিয়রের জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্ট্যাটফোর্ড অন-অ্যাভনে। মাত্র আঠারো বছর বয়সে তিনি অ্যানি হ্যাথাওয়েকে বিবাহ করেন। অ্যানির গর্ভে শেকসপিয়রের তিনটি সন্তান হয়েছিল। এঁরা হলেন সুসান এবং হ্যামনেট ও জুডিথ নামে দুই যমজ। ১৫৮৫ থেকে ১৫৯২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি অভিনেতা ও নাট্যকার হিসেবে লন্ডনে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। লর্ড চেম্বারলেইন’স ম্যান নামে একটি নাট্যকোম্পানির তিনি ছিলেন সহ-সত্ত্বাধিকারী। এই কোম্পানিটিই পরবর্তীকালে কিং’স মেন নামে পরিচিত হয়। ১৬১৩ সালে তিনি নাট্যজগৎ থেকে সরে আসেন এবং স্ট্র্যাটফোর্ডে ফিরে যান। তিন বছর বাদে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। শেকসপিয়রের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নথিভুক্ত তথ্য বিশেষ পাওয়া যায় না। তাঁর চেহারা, যৌনপ্রবৃত্তি, ধর্মবিশ্বাস, এমনকি তাঁর নামে প্রচলিত নাটকগুলি তাঁরই লেখা নাকি অন্যের রচনা তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে।
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ (ইংরেজি: William Wordsworth) (৭ এপ্রিল ১৭৭০- ২৩ এপ্রিল ১৮৫০) ছিলেন একজন অন্যতম ইংরেজ রোমান্টিক কবি। ওয়ার্ডসওয়ার্থ এবং স্যামুয়েল টেলর কলরিজ উভয়ে মিলে ইংরেজি সাহিত্যে একটি রোমান্টিক ধারার সূত্রপাত করেন। তার স্ততিষ্টির মধ্যে অন্যতম হল দ্য প্রিলিউড। এটি মূলত একটি অর্ধজিবনীমূলক গ্রন্থ যা তার প্রারম্ভিক জীবনে লিখা হলেও মধ্যবয়সে তিনি বেশ কয়েকবার সংশোধন করেন। ওয়ার্ডসওয়ার্থের মৃত্যুর পর দ্য প্রিলিউড ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হয়। মূলত ইংরেজি সাহিত্যে রোমান্টিক ধারার প্রবর্তক হলেও উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ প্রকৃতির কবি হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত।