প্রদোষে প্রাকৃতজন
প্রদোষে প্রাকৃতজন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক শওকত আলী রচিত একটি বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৮৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে।[২] ১৯৮৩ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদ সংখ্যায় প্রদোষে প্রাকৃতজন প্রকাশিত হয়েছিল এবং ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল দুষ্কালের দিবানিশি। ১৯৮৪ সালেই প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএল দুখন্ড একত্রিত করে প্রদোষে প্রাকৃতজন নামে প্রকাশ করে।[৩] তুর্কিদের আক্রমণ ও সেন রাজাদের সময়য়ে বঙ্গদেশের প্রাকৃতজনদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে এ উপন্যাসে।
লেখক | শওকত আলী |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | সমর মজুমদার |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশিত | ১৯৮৪ (দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড)[১] |
মিডিয়া ধরন | প্রিন্ট (হার্ডকভার) |
আইএসবিএন | ৯৭৮৯৮৪৫০৬১৬৩৬ |
পূর্ববর্তী বই | যাত্রা (১৯৭৬) |
পরবর্তী বই | দক্ষিণায়নের দিন (১৯৮৫) |
গল্প সংক্ষেপ
সম্পাদনাসেন রাজাদের রাজত্বকালে দেশের সাধারণ জনগণ সামন্ত মহাসামন্তদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ করে কখনো অন্ত্যজ হিন্দুরা, কখনো বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। সে সময়কালে কয়েকজন প্রাকৃতজনের জীবন-সংগ্রামের গল্প প্রদোষে প্রাকৃতজন। আত্রেয়ী নদী তীরের মৃৎশিল্পী শ্যামাঙ্গ জানে না কেন তার গুরু বসুদেব তার প্রতি রাগান্বিত। মায়াবতী চায় তার স্বামীকে তার বাহুডোরে আগলে রাখতে কিন্তু কোন টানে সে ছুটে যায় মিত্রানন্দের কাছে। স্বামী পরিত্যক্তা লীলাবতী কি ফিরে পাবে স্বামী অভিমন্যু দাসকে। কিংবা অন্ত্যজ হিন্দুরা বা বৌদ্ধ ভিক্ষুরা কি পারবে সামন্ত মহাসামন্তদের অত্যাচার থেকে দেশকে বাঁচাতে।
চরিত্র
সম্পাদনা- শ্যামাঙ্গ - আত্রেয়ী নদী পাড়ের একজন মৃৎশিল্পী
- বসুদেব - শ্যামাঙ্গের গুরু
- নীলাম্বর - শ্যামাঙ্গের মিত্র
- সুধীমিত্র - কায়স্থ কুলতিলক মহাসামন্ত
- মায়াবতী - উজুবট গ্রামের মেয়ে
- লীলাবতী - উজুবট গ্রামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে, মায়াবতীর সখী
- শুকদেব - মায়াবতীর পিতা, উজুবট গ্রামের ক্ষেত্রকর
- যোগমায়া - মায়াবতীর মাতা
- চন্দ্রদাস - মায়াবতীর ভাই
- দীনদাস - মায়াবতীর মামা
- বসন্তদাস - মায়াবতীর স্বামী, মিত্রানন্দের শিষ্য
- অভিমন্যু দাস - লীলাবতীর স্বামী
- হরকান্ত - লীলাবতীর পিতা
- যোগী সিদ্ধপা / দীননাথ - লীলাবতীর মামা
- কমলা - দীননাথের স্ত্রী
- হরিসেন - মহাসামন্ত
- বজ্রসেন - হরিসেনের প্রধান অনুচর
- কুসুম - প্রতিবাদী ডোমনী
- সোমজিৎ উপাধ্যায় - উজুবট গ্রামপতি
- মিত্রানন্দ - ভিক্ষুদের সর্দার
- কৃষ্ণা - মন্দিরদাসী
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রদোষে প্রাকৃতজন"। ইউপিএল। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ মাহমুদ শাওন (২৯ মে ২০১৫)। "যেভাবে লেখা হলো 'প্রদোষে প্রাকৃতজন'"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "যে ঐতিহ্য আমার চেতনা আর চিন্তায় ক্রিয়াশীল তার বিকাশ এই বাংলা ভূখণ্ডেই – শওকত আলী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৯ এপ্রিল ২০১০।