প্রথম থাই–লাও মৈত্রী সেতু
প্রথম থাই–লাও মৈত্রী সেতু ( থাই: สะพานมิตรภาพ ไทย-ลาว แห่งที่ 1 , উচ্চারিত [sā.pʰāːn mít.trā.pʰâːp tʰāj lāːw hɛ̀ŋ tʰîː nɯ̀ŋ] ; লাও: ຂົວມິດຕະພາບ ລາວ-ໄທ ແຫ່ງທຳອິດ ,[kʰǔə mittapʰâːp láːw tʰaj hɛŋ tʰám ǐt] ) মেকং নদী উপর একটি সেতু, যা লাওসের ভিয়েনতিয়েন প্রিফেকচারের সাথে থাইল্যান্ডের নং খাই প্রদেশ এবং নং খাই শহরকে যুক্ত করেছে। সেতু হতে ভিয়েনতিয়েন শহর প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১৭০ মিটার (০.৭৩ মাইল)। সেতুটিতে দুটি ৩.৫ মিটার (১১ ফুট ৬ ইঞ্চি) প্রশস্ত রাস্তার লেন এবং দুটি ১.৫ মিটার (৪ ফুট ১১ ইঞ্চি) প্রশস্ত ফুটপাথ এবং মাঝ বরাবর একটি একক ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) রেললাইন আছে।
প্রথম থাই–লাও মৈত্রী সেতু สะพานมิตรภาพ ไทย-ลาว แห่งที่ ๑ ຂົວມິດຕະພາບ ລາວ-ໄທ ແຫ່ງທຳອິດ | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ১৭°৫২′৪২″ উত্তর ১০২°৪২′৫৬″ পূর্ব / ১৭.৮৭৮৩৩৩৩৩৩৩৩৩° উত্তর ১০২.৭১৫৫৫৫৫৫৫৫৬° পূর্ব |
বহন করে | মোটরযান, ট্রেন |
অতিক্রম করে | মেকং নদী |
স্থান | নং খাই, নং খাই প্রদেশ ভিয়েনতিয়েন, ভিয়েনতিয়েন প্রিফেকচার |
দাপ্তরিক নাম | প্রথম থাই–লাও মৈত্রী সেতু |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ১.১৭ কিলোমিটার (৩,৮০০ ফুট) |
প্রস্থ | ৩.৫ মিটার (১১ ফুট ৬ ইঞ্চি) ও ১.৫ মিটার (৪ ফুট ১১ ইঞ্চি) |
ইতিহাস | |
চালু | ৪ এপ্রিল ১৯৯৪ |
অবস্থান | |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৪ সালের ৮ এপ্রিল সেতুটির উদ্বোধন ও চলাচলের জন্য খোলা হয়েছিল, এটি মেকং নদীর উপর দ্বিতীয় এবং নদীর নিম্ন প্রবাহের উপর প্রথম নির্মিত সেতু।
সেতুটি নির্মাণে ৪২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয় ডলার খরচ হয়েছিল। অস্ট্রেলিয় সরকার লাওসের জন্য উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করেছিল।[১][২]
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান অবকাঠামো প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার ক্ষমতার প্রদর্শন হিসাবে অস্ট্রেলিয় কোম্পানিগুলি সেতুটি নকশা এবং নির্মাণ করেছিল। অস্ট্রেলিয় ভিএসএল নামক প্রতিষ্ঠানের ব্রুস রামসে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ক্যান্টিলিভার সেতুর ধারণা থেকে সেতুর নকশা প্রস্তাব করেছিলেন, এটির চূড়ান্ত নকশা মৌনসেল কোম্পানির পরামর্শক প্রকৌশলীদের দ্বারা করা হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সাভানাখেতে দ্বিতীয় থাই-লাও মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের পর, সেতুটির নামের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে "প্রথম" যোগ করে নাম পরিবর্তন করা হয়।
সেতুর ট্রাফিক ব্যবস্থা
সম্পাদনাসেতুর ট্রাফিক থাইল্যান্ডে হতে বাম দিকে চলে এবং লাওসে ট্রাফিক ডানদিকে চলে। লাওস প্রান্তে সীমান্ত চৌকির ঠিক আগে যান চলাচলের দিক পরিবর্তনের নির্দেশ রয়েছে। এই দিক পরিবর্তন ট্রাফিক বাতি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়।
সেতুর উপর দিয়ে লাওস এবং থাই সীমান্ত চৌকির মাঝে চলাচলের জন্য পৃথক শাটল বাস সেবা আছে। বাইসাইকেল ও ট্রাইসাইকেলগুলি সেতুর রাস্তা ও ফুটপাত দুটোই ব্যবহার করতে পারে। অবে পথচারীদের চলাচল ফুটপাতে সীমাবদ্ধ।
সেতুটি আন্তঃএশিয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার এশিয়ান হাইওয়ে ১২-এর অংশ।
রেলওয়ে
সম্পাদনানং খাই স্টেশন থেকে একটি মিটারগেজ রেল সেতুর মধ্য বরাবর চলে। ট্রেন অতিক্রম করার সময় রাস্তার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২০০৪ সালের ২০ মার্চে থাই এবং লাও সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেন রেলপথটি সেতুর সাথে প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার (২.২ মাইল) দূরে লাওসের থানালেং রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। থাই সরকার অনুদান এবং ঋণের সমন্বয়ের মাধ্যমে রেলপথটির সম্প্রসারণে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়।[৩] ২০০৭ সালের ১৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ শুরু হয়।[৪] ২০০৮ সালের ৪ জুলাই পরীক্ষামূলক ট্রেন চলতে শুরু হয়।[৩] ২০০৯ সালের ৫ মার্চ রেলপথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, ফ্রান্স উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক থানালেং রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভিয়েনতিয়েন পর্যন্ত রেল লাইনের জন্য অর্থায়নের অনুমোদন ঘোষণা করা হয়।[৫]
সম্প্রসারণের জন্য থাই সরকারের কাছ থেকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণও পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। নির্মাণটি মূলত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং লাও রেলওয়ের কর্মকর্তারা ২০১০-এর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নিশ্চিত করেছিলেন যে পরিকল্পনাগুলি এগিয়ে যাবে৷ রেওলাইন সম্প্রসারণ সম্পূর্ণ হতে আনুমানিক তিন বছর সময় লাগত, তা আরো ৯ কিলোমিটার (৫.৬ মাইল) প্রসারিত হয়ে থানালেং থেকে একটি নতুন প্রধান রেলপথ খামসাওয়াথ স্টেশনকে সংযুক্ত করবে।[৬] স্টেশনটি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে একই বছরের শেষের দিকে খোলার পরিকল্পনা ছিল।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইস্টার্ন এবং ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস মেকং নদী পেরিয়ে লাওসে এই সেতুর উপর দিয়ে দিয়ে যায়।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The First Thai - Laos Friendship Bridge"। Australian Embassy Thailand। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২০।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০০৯-০৯-১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২১।
- ↑ ক খ "Testing takes train into Laos"। Railway Gazette International। ২০০৮-০৭-০৭। ২০১০-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৩।
- ↑ "Laos link launched"। Railway Gazette International। ২০০৭-০৩-০১। ২০১০-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৩।
- ↑ Saeung, Sopaporn (23 February 2006). "France okays Thai-Laos railway link" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১০-০৮ তারিখে, The Nation.
- ↑ Laos and Thailand set to begin building railway extension into Vientiane
- ↑ "Eastern & Oriental Express Makes its First Journey Over Friendship Bridge"। Luxury Travel Magazine। ৫ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২০।