পোয়াডা
পোয়াডা (মারাঠি: पोवाडा) হল মারাঠি কবিতার একটি ঘরানা যেটি ভারতে ১৭ শতকের শেষের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। পোয়াডাগুলি একধরনের বীর গাথা যেগুলি আকর্ষণীয় শৈলীতে লেখা এবং সেখানে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি একটি অনুপ্রেরণামূলক উপায়ে বর্ণনা করা হয়েছে।[১] পোয়াডাগুলির সুরকার তথা গায়কেরা শাহির নামে পরিচিত। এর আগে, পোয়াডার অধিকংশ বীর গাথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা রচিত হত। পর্যায়ক্রমে কবিতা আবৃত্তি ও গদ্যের নির্যাস নিয়ে পোয়াডাগুলি হল নাটকীয় বর্ণন। পোয়াডাতে অত্যন্ত জোরালো এবং অনুপ্রেরণামূলক শৈলীতে বীর পুরুষদের ও বীরাঙ্গনাদের মহান ক্রিয়াকলাপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের সময় সচেতনতা তৈরির জন্য মাধ্যম হিসাবে পোয়াডাকে ব্যবহার করা হত। ইতিহাস নিয়ে লেখার জন্য এগুলি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
পোয়াডা | |
---|---|
সাংস্কৃতিক বূৎপত্তি | সপ্তদশ শতক |
খুঁটিনাটি
সম্পাদনাপেশাদার পোয়াডা গায়করা পরে একটি সঙ্ঘ বা বর্ণ গঠন করেছিলেন যেটি গোন্ধালী নামে পরিচিত। প্রথম উল্লেখযোগ্য পোয়াডাটি ছিল অগ্নিদাসের লেখা আফজল খানের হত্যা (মারাঠি: अफझल खानाचा वध) (১৬৫৯)। যেখানে শিবাজীর সাথে আফজল খানের লড়াইয়ের বর্ণনা আছে। পরের উল্লেখযোগ্য পোয়াডাটি ছিল তুলসীদাসের লেখা তানাজী মালুসরে (মারাঠি: तानाजी मालुसरे। যেখানে তানাজি দ্বারা সিংহগড় দুর্গ অধিকারের একটি বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।[২] আর একটি উল্লেখযোগ্য সমসাময়িক পোয়াডা হল ইয়ামাজি ভাস্কর রচিত বাজি পসলকর (মারাঠি: बाजी पसाळकर)।
পেশওয়া শাসন চলাকালীন, বেশ কয়েকজন শাহির কবি-গায়ক উদ্যাপন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে রাম জোশী (১৭৬২-১৮১২), অনন্ত ফান্দি (১৭৪৪-১৮১৯), হোনাজি বালা (১৭৫৪-১৮৪৪) এবং প্রভাকর (১৭৬৯-১৮৪৩) রচিত পোয়াডা।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "History & Art of Powada"। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২১।
- ↑ Majumdar, R.C. (ed.) (2007). The Mughul Empire, Mumbai: Bharatiya Vidya Bhavan, আইএসবিএন 81-7276-407-1, p.584
- H. A. Acworth and S. T. Shaligramgot the powada of afazaj vadha written by aagindas in kolhapur shivshahir purshottam raut