পূর্ব তিমুরের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা

গণপ্রজাতন্ত্রী তিমুর
টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা
ভূমিজ সংযোগ (২০০৬): ৩,০০০[১]
মোবাইল সংযোগ (২০০৭): ১০৩,০০০[১]
ccTLD: .tl
কলিং কোড: +৬৭০

পূর্ব তিমুরের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে পূর্ব তিমুরে তারবিহীন বা তারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে সংবাদ আদান-প্রদান ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নির্দেশ করা হয়। দীর্ঘদিন ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে থাকায় এবং দুর্গম এলাকার পাশাপাশি সংঘর্ষের কারণে পূর্ব তিমুরের টেলিযোগাযোগ খাতটি ততটি বিকশিত হয়ে ওঠেনি ও এখানে টেলিফোন, এমন কি ইন্টারনেটের ব্যবহারও তুলনামূলকভাবে সীমিত।[২]

টেলিফোন সম্পাদনা

১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুর থেকে ইন্দোনেশিয়া চলে যাবার সময় দেশটির টেলিফোন যোগাযোগের পরিকাঠামোর অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং টেলকম ইন্দোনেশিয়া এখানে প্রদত্ত তাদেের সেবা প্রদান সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন পূর্ব তিমুরের জন্য একটি নতুন আন্তর্জাতিক কলিং কোড (+৬৭০) বরাদ্দ করলেও দেশটিতে আন্তর্জাতিক প্রবেশাধিকার প্রায়শই বেশ সীমিত পরিসরে কার্যকর থাকে।

রেডিও সম্পাদনা

পূর্ব তিমুরের কমপক্ষে ২১টি রেডিও স্টেশন রয়েছে।[২] প্রধান স্টেশনটি হচ্ছে রেডিও তিমুর লেস্টে; যেটিতে তেতুুম, পর্তুগিজ এবং ইন্দোনেশিয় ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার কার্যক্রম চলে। অন্যান্য রেডিও স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে রেডিও কেমানেক, রেডিও ফালিন্টিল এবং রেডিও রেঁনাসাস। পর্তুগাল রেডিও, রেডিও অস্ট্রেলিয়া, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস প্রভৃতি এফএম সম্প্রচার কার্যক্রম রয়েছে। কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলি পুরো দেশ জুড়ে সম্প্রচার কার্যক্রম চালায় টোকোডেডে এবং ফাটালুকুর মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায়।

টেলিভিশভিন সম্পাদনা

পূর্ব তিমুরের টেলিভিশাও তিমুর লেস্টে বা টেলিভিজায়ুন তিমুর লোরোসে নামে পরিচিত একটি সরকারি জাতীয় টেলিভিশন আছে,[২] যেটিতে তেতুম ভাষা এবং পর্তুগিজ ভাষায় স্থানীয় অনুষ্ঠান এবং পর্তুগালের অনুষ্ঠান আরটিপি কর্তৃক পুনঃবিন্যস্তকরণের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।

২০০৭ সালের মে মাসে আরটিটিএল'এর রেডিও ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান টেলকম ইন্দোনেশিয়ার সেবা ব্যবহার করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।[৩][৪]

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলের রিডি গ্লোবোর অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করে টিভিটিএল।[৫]

ইন্টারনেট সম্পাদনা

পূর্ব তিমুরের জন্য ইইন্টারনেট কান্ট্রি কোড .টিএল (.tl)। এটি .টিপি (.tp) থেকে (পর্তুগিজ তিমুর) পরিবর্তীত হয়েছে ২০০২ সালের ২০ মে দেশটি স্বাধীনতা লাভের ফলে।

পূর্ব তিমুরে কেবলমাত্র একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে যা তিমুর টেলিকম কোম্পানি। এখানকার ১৩.৪% লোক ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করে।[৬]

অবরুদ্ধ সম্পাদনা

ইন্টারনেট বা প্রকাশিত প্রতিবেদন গুলি পঠনের উপর কোনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই; বা, সরকার ই-মেইল বা ইন্টারনেট চ্যাট রুমগুলি নিরীক্ষণ করে এমন কোনো প্রমাণও দৃষ্ট হয়নি কখনও। আইনে গোপনীয়তা, পারিবারিক, গৃহ অথবা চিঠিপত্রে হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করে এবং সরকার সাধারণত এই নিষেধাজ্ঞাগুলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।[৭]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Portugal Telecom press-release from Aug 2008
  2. CIA World Factbook, 2009: East Timor
  3. "TELKOM - PT. Telekomunikasi Indonesia Tbk"telkom.co.id। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  4. http://www.lyngsat.com/telkom1.html
  5. "WorldScreen.com - Archives"worldscreen.com 
  6. "Percentage of Individuals using the Internet"Statistics। International Telecommunication Union। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭ 
  7. "Timor-Leste", Country Reports on Human Rights Practices for 2012, Bureau of Democracy, Human Rights and Labor, U.S. Department of State, 22 March 2013. Retrieved 26 December 2013.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা