পুটিয়াদহ উচ্চ বিদ্যালয়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল থানার অন্তর্গত পুটিয়াদহ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই বিদ্যালয়। নাম- পুটিয়াদহ উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি। এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়। ২০১৩ সাল থেকে এই বিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত বিদ্যালয় হিসেবে ভূষিত হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন ১২ জন। ২০১১ সালে এই বিদ্যালয় সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

সম্পাদনা

বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল থানার অন্তর্ভুক্ত দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পুটিয়াদহ মৌজায় প্রায় ৩ একর জমির উপর এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবকবৃন্দ: রাসবিহারী সিংহমহাপাত্র, গোকুলচন্দ্র মহান্তি, গোলোকবিহারী সিংহমহাপাত্র, রাজীবলোচন ষন্নিগ্রহী।

জমি দাতাগণের নামের তালিকা:

অদ্বৈত সিংহমহাপাত্র(পুটিয়াদহ)

বিষ্ণুচরণ মহান্তি(পুটিয়াদহ)

বিভূতিভূষণ সিংহমহাপাত্র(ভেদুয়া)

মহেন্দ্রনাথ যন্নিগ্রহী(পুটিয়াদহ)

পঞ্চানন মহান্তি(ঝুমকা)

শম্ভুনাথ ষন্নিগ্রহী(পুটিয়াদহ)

অমূল্যরতন মহান্তি(পুটিয়াদহ)

উমাচরণ সৎপথী(পুটিয়াদহ)

যতীন্দ্রনাথ মহান্তি(পুটিয়াদহ)

ফকিরচন্দ্র মহান্তি(পুটিয়াদহ)

হৃষিকেশ সৎপথী(বাগান)

মদনমোহন মহান্তি(পুটিয়াদহ)

সুধীরচন্দ্র সিংহমহাপাত্র(পুটিয়াদহ)

এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পিছনে যাদের প্রচেষ্টা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে- বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাননীয় প্রস্তাবক বৃন্দ, জমি দাতাগণ এবং তৎকালীন দুবরাজপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পুটিয়াদহ গ্রামের নীরদবরণ ষন্নিগ্রহী।

১৯৬১ সালের প্রথম পরিচালন সমিতির সদস্যবৃন্দ:

অরুণকুমার সেনগুপ্ত-বি,ডি,ও, সিমলাপাল, সভাপতি

রাসবিহারী সিংহমহাপাত্র

অভিভাবক

রাজীবলোচন যন্নিগ্রহী সম্পাদক

বিভূতিভূষণ মহান্তি -

অভিভাবক

দাশরথি পাত্র -প্রধান শিক্ষক

ভূবনমোহন সাহা-

অভিভাবক

গোকুলচন্দ্র মহান্তি-সদস্য (চাঁদাদাতা)

যামিনীমোহন সিংহমহাপাত্র (পৃষ্ঠপোষক)

দ্বিতীয় পরিচালন সমিতি ১৯৬৬-১৯৭৭

গুলু হাঁসদা-

অভিভাবক

সত্যরঞ্জন নায়ক-

শিক্ষক

শিবশঙ্কর চক্রবর্তী -

শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, সভাপতি

অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক-

সিমলাপাল চক্র

বারিদবরণ ষন্নিগ্রহী -

সম্পাদক

শশাঙ্কশেখর ষন্নিগ্রহী প্রধান শিক্ষক (পদাধিকার বলে)

(সদস্যবৃন্দ)

আদিত্যবরণ সিংহবাবু, অনুদ্ধজ দত্ত, শশাঙ্কশেখর সিংহমহাপাত্র (ডাক্তার), মহেন্দ্রনাথ যন্নিগ্রহী, স্বরূপ হাঁসদা, গোলোকবিহারী সিংহমহাপাত্র, দাশরথি পাত্র, সত্যরঞ্জন ষন্নিগ্রহী। সূত্র: সুবর্ণ জয়ন্তী স্মরণিকা।[১]

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

সম্পাদনা

সাধারণ পঠন পাঠন ছাড়াও এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। বিদ্যালয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন,সাধারণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস, রবীন্দ্রজয়ন্তী, শিক্ষক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এই বিদ্যালয়ে বাৎসরিক পুরস্কার বিতরণী উৎসব এবং সরস্বতী পূজা আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে পালিত হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা নাচ, গান আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন করে।

তথ্য সূত্র

সম্পাদনা
  1. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি=সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারকগ্রন্থ