পার্থানন
পার্থানন (গ্রীক: Παρθενώνας) প্রাক এথেন্সের আর্কোপলস পাহাড়ের উপর দেবী অ্যাথিনা কে উৎসর্গ করে ডরিক রীতিতে নির্মিত একটি মন্দির।[৪][৫] এটি প্রাচীন গ্রিসের গণতন্ত্র এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতীক।[৬]
পার্থানন | |
---|---|
Παρθενώνας | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | মন্দির |
স্থাপত্যশৈলী | ক্লাসিক্যাল |
অবস্থান | এথেন্স, গ্রীস |
দেশ | গ্রীস |
ঊর্ধ্বতা | ১৩.৭২ মি (৪৫.০ ফু)[১] |
বর্তমান দায়িত্ব | জাদুঘর |
নির্মাণ শুরু | ৪৪৭ খ্রিঃপূ[২][৩] |
সম্পূর্ণ | ৪৩২ খ্রিঃপূ[২][৩] |
স্বত্বাধিকারী | গ্রীক সরকার |
উচ্চতা | ১৩.৭২ মি (৪৫.০ ফু)[১] |
Dimensions | |
অন্যান্য মাত্রা | সেল্লা: ২৯.৮ বাই ১৯.২ মি (৯৮ বাই ৬৩ ফু) |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | ইকটিনোস, কালিক্রেটস |
অন্যান্য নকশাবিদ | ফিডিয়াস (ভাস্কর) |
পার্থেনন নিজেই এথেনার একটি পুরানো মন্দিরকে প্রতিস্থাপন করেছিল, যাকে ঐতিহাসিকরা প্রাক-পার্থানন বা পুরাতন পার্থনন বলে, এটি খ্রিস্টপূর্ব ৪৮০ খ্রিস্টাব্দে পার্সিয়ান আক্রমণে ধ্বংস হয়েছিল। বেশিরভাগ গ্রিক মন্দিরের মতো পার্থাননও শহরের কোষাগার হিসাবে ব্যবহার হতো।[৭][৮]
৫ম শতাব্দীতে ফিদিয়াস নির্মিত মূর্তি অপসারন করা হয় এবং এটিকে একটি খ্রীষ্টিয়ান চার্চ হিসেবে পরিনত করা হয়। ৭ম শতকের দিকে আরো কিছু অভ্যন্তরীন স্থাপত্য কাজ করা হয়। অটোমান সাম্রাজ্য ১৪৫৮ সালে অ্যাক্রোপলিস দখল করে এবং পরে ১৪৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে এটি মসজিদে পরিণত হয়েছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৬৮৭-এ অ্যাক্রোপলিস অবরোধের সময় ভিনিসিয়ান বোমা হামলায় ভবনের ভিতরে একটি অটোমান গোলাবারুদ ডাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ বিস্ফোরণ পার্থানন এবং তার ভাস্কর্যগুলিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৮০০ থেকে ১৮০৩,[৯] অ্যালগিনের সপ্তম টমাস ব্রুস অটোমান সাম্রাজ্যের তুর্কিদের অনুমতি নিয়ে বেঁচে থাকা কিছু ভাস্কর্য সরিয়ে দেয় যা এখন এলজিন মার্বেলস নামে পরিচিত।[১০]
বিবরণ
সম্পাদনাপার্থানন মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় 447 BC তে যখন অ্যাথিয়ান সম্রাজ্য ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছিল, এবং শেষ হয় 438 BC তে যদিও এর অভ্যন্তরিন সজ্জার কাজ 432 BC পর্যন্ত চলতে থাকে। পার্থানন মন্দির টি অত্যন্ত দৃঢ় ভৃত্তির উপর নির্মিত হওয়াই ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এটি অটুট অবস্থায় দণ্ডায়মান ছিল, কিন্তু ইহার অভন্তরস্থ বারুদাগারে অগ্নি সংক্রমনের ফলে যে দারুন বিস্ফোরন ঘটে উহার ফলে মন্দিরটি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবুও এথেন্সের চর্তূদিকস্থ বিপুল ধ্বংষলীলার মধ্যে অতীত গৌরবের সাক্ষীরুপে মন্দিরটি এখনও দণ্ডায়মান আছে।
ইতিহাস
সম্পাদনামসজিদ
সম্পাদনা১৪৫৬ সালে, অটোমান তুর্কি বাহিনী এথেন্স আক্রমণ করেছিল এবং ফ্লোরেনটাইন সেনাবাহিনীকে অবরোধ করেছিল, যারা ১৪৫৮ সালের জুন পর্যন্ত অ্যাক্রপোলিসকে রক্ষা করে, পরে আত্মসমর্পণ করার পরে।[১১] চার্চ হিসাবে ব্যবহারের জন্য তুর্কিরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রীক অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের কাছে পার্থাননকে দিয়েছিল।[১২] পঞ্চদশ শতাব্দীর সমাপ্তির কিছু আগে পার্থানন মসজিদে পরিণত হয়।[১৩]
গ্যালারী
সম্পাদনা-
Wide-scale restoration in 2010
-
The Parthenon from the south
-
Work in progress in 2007
-
A reconstructed architrave block
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Penprase, Bryan E., The Power of Stars: How Celestial Observations Have Shaped Civilization, Springer Science & Business Media, 2010. আইএসবিএন ৯৭৮১৪৪১৯৬৮০৩৬. p. 221.
- ↑ ক খ Parthenon. Academic.reed.edu. Retrieved on 4 September 2013.
- ↑ ক খ The Parthenon. Ancientgreece.com. Retrieved on 4 September 2013.
- ↑ Neils, Jenifer (২০০৫-০৯-০৫)। The Parthenon: From Antiquity to the Present (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা ৬৭। আইএসবিএন 978-0-521-82093-6।
- ↑ Hambidge, Jay। "The Parthenon and other Greek temples; their dynamic symmetry" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৭।
- ↑ Beard, Mary (২০১০-১২-০৯)। The Parthenon (ইংরেজি ভাষায়)। Profile Books। পৃষ্ঠা ১১৮। আইএসবিএন 978-1-84765-063-4।
- ↑ Davison, Claire Cullen; Lundgreen, Birte (২০০৯)। Pheidias: the sculptures & ancient sources (ইংরেজি ভাষায়)। Institute of Classical Studies, School of Advanced Study, University of London। পৃষ্ঠা ২০৯। আইএসবিএন 978-1-905670-21-5।
- ↑ Robertson, Martin, (১৯৮১)। A shorter history of Greek art । Cambridge [England]: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা ৯০। আইএসবিএন 0-521-23629-0। ওসিএলসি 6864625।
- ↑ "Lord Elgin and the Parthenon Sculptures"। ২০১৩-০২-০৩। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৯।
- ↑ "How the Parthenon Lost Its Marbles"। History Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৯।
- ↑ Babinger, Franz (১৯৭৮)। Mehmed the Conqueror and His Time (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা ১৫৯। আইএসবিএন 978-0-691-01078-6।
- ↑ "Ottoman Athens I: Early Ottoman Athens (1456–1689)"। Anagnosis (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৭-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৯।
- ↑ "The acropolis of Athens"। Internet Archive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৯।