পারভিন আর্দালান

একজন নেতৃস্থানীয় ইরানি নারী অধিকার কর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক।
(পারভিন আরদালান থেকে পুনর্নির্দেশিত)

পারভিন আর্দালান (ফার্সি: پروین اردلان  ; জন্ম: ১৯৬৭ সালে তেহরানে) হচ্ছেন একজন নেতৃস্থানীয় ইরানি নারী অধিকার কর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক। তিনি জাতিগত ভাবে ইরানি কুর্দি হলেও, তিনি কুর্দি ভাষায় কথা বলেন না। [১] তিনি ইরানে লৈঙ্গিক সমতা তথা নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের জন্য সংগ্রামের জন্য ২০০৭ সালে সুইডেনের ওলোফ পালমে পুরস্কার লাভ করেন। [২]

পারভিন আরদালান (2016)

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৯০-এর দশকে আরদালান নওশিন আহমাদি খোরাসানির মতো বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নারীদের সঙ্গে নিয়ে, মহিলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (মারকাজ-ই ফারহাঙ্গি-ইয়ে জানান) প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে এই সংগঠনটি ইরানে নারীদের সমস্যা গুলি বিশ্লেষণ এবং নথিভুক্ত করার জন্য একটি কেন্দ্র ছিল। [৩] ২০০৫ সাল থেকে সংস্থাটি নারীদের অধিকার নিয়ে ইরানের প্রথম অনলাইন ম্যাগাজিন জানেস্তান প্রকাশ করে। এই ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন পারভিন আর্দালান। সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে তার নিরন্তর সংগ্রামে পত্রিকাটি সর্বদা একটি নতুন নাম নিয়ে ফিরে আসে। পত্রিকাটি বিবাহ, পতিতাবৃত্তি, শিক্ষা, এইডস এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে কাজ করে। নওশিন আহমাদি খোরাসানির সাথে, আরদালান নিজ দেশ ইরানের প্রথম নারী আইনজীবী মেহরাঙ্গিজ মানুচেরিয়ান সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন, যার শিরোনাম ছিল "সেনেটর: দ্য ওয়ার্ক অব সিনেটর মেহরাঙ্গিজ মানুচেরিয়ান ইন স্ট্রাগল ফর লিগ্যাল রাইটস ফর উইমেন"। বইটির জন্য তিনি ২০০৪ সালে লতিফেহ ইয়ারশাতার গ্রন্থ পুরস্কার অর্জন করেছেন।

এক মিলিয়ন স্বাক্ষর অভিযান সম্পাদনা

পারভিন আরদালান এক মিলিয়ন স্বাক্ষর অভিযানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য [৪] এটি হচ্ছে মহিলাদের সমান অধিকারের সমর্থনে এক মিলিয়ন বা দশ লক্ষ্য স্বাক্ষর সংগ্রহের প্রচেষ্টা। প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি বেশ কিছু বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তবে সহিংসভাবে এসব বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৭ সালে নওশিন আহমাদি খোরাসানির সাথে একত্রে নারী অধিকারের জন্য তাদের সংগ্রামের সাথে "জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকি" দেওয়ার অভিযোগে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আরও চার জন নারী অধিকার কর্মী একই সাজা পান।

২০১২ সালে সুইডিশ মাইগ্রেশন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেন যে আর্দালানকে সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ তিনি সেই সময়ের ৩ বছর আগে ইরান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে সুইডেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। [৫]

পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The Olof Palme Prize 2007"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০০৮ 
  2. "Palme Prize to Iranian Women's Rights Activist"Huliq.com। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০০৮ 
  3. Ullberg, Sara (৮ মার্চ ২০০৮)। "Palmepristagare stoppades på flyget"Dagens Nyheter (Swedish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০০৮ 
  4. "Change for Equality, Official site of One million signatures campaign"। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  5. "Archived copy"। ৩০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা