পাম ট্রি মসজিদ দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরের ১৮৫ লং স্ট্রিটে অবস্থিত আফ্রিকার দ্বিতীয় প্রাচীন মসজিদ[] পূর্বে এটি ছিল আবাসস্থল, পরবর্তীতে যা মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। মসজিদটিকে ইয়ান ভ্যান বোগিজ গির্জা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।[]

পাম ট্রি মসজিদ
পাম ট্রি মসজিদ ১৯১৫ সালের সময়কার
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
প্রদেশপশ্চিম কেপ
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থান১৮৫ লং স্ট্রিট, কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
স্থানাঙ্ক৩৩°৫৫′২৯″ দক্ষিণ ১৮°২৫′০০″ পূর্ব / ৩৩.৯২৪৭৭০° দক্ষিণ ১৮.৪১৬৭৯৩° পূর্ব / -33.924770; 18.416793
স্থাপত্য
ভূমি খনন১৭৮৮; ২৩৫ বছর আগে (1788)

ইতিহাস

সম্পাদনা
 
১৯৪৩ সালে পাম গাছ মসজিদ

একসময়কার হারমানাস স্মটসের মালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত ভবনটি ১৭৫১ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমেে স্থাপিত হয়েছিলে। এই অনুদানটি লং, লিউউইন এবং কেরোম স্ট্রিটস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। ১৭৫৪ সালে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সম্পত্তিটির কিছু অংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। উক্ত সময়ে সম্পত্তির উপর আস্তাবল ছিল। এটি একসময় জেএম ভোগেল ক্রয় করেছিলেন এবং ১৭৭৭ সালে ভোগেলের মৃত্যুর পরে ব্যারন উইলেম ফারডিনান্ড ভ্যান রিড ভ্যান অডশোর ক্রয় করেছিলেন। ১৭৮২ সালে এটি তার এক ছেলের কাছে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ড্যানিয়েল হুগো (১৭৮৫), ড্যানিয়েল ক্রিনাউ (১৭৮৬) এবং ক্যারেল লোডেভিজক স্কট (১৭৮৭) এই জমির মালিকানায় ছিলেন।[]

১৭৮৮ সালে স্কট প্রথম বাসস্থানটি নির্মাণের সময় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন। অতঃপর ১৭৯০ সালে এই সম্পত্তিটি জেপি রক্স ক্রয় করেছিলেন।[] মুক্ত দাস জন ভ্যান বুগিস এবং ফ্রান্সস ভ্যান বেনগালেন ১৮০৭ সালে সম্পত্তিটি ক্রয় করেছিলেন এবং ১৮১১ সালে জ্যান ভ্যান বোগিজ এই জমির একমাত্র মালিক হয়েছিলেন। প্রাক্তন ইমাম হিসাবে সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হলে জন এবং ফ্রান্স কিছু অনুগামীদের সাথে আউয়াল মসজিদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ১৮৪৬ সালে ১১২ বছর বয়সে জন ভ্যান বুগিস মারা যাওয়ার সময় তিনি সম্পত্তিটি কেপের স্ত্রী সামিদার কাছে রেখে যান, তবে এই ভবনটিকে কেপটাউনের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ হিসাবে চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন।[]

ধারণা করা হয় ১৮১১ থেকে ১৮২১ সালের মধ্যে ভবনটি মসজিদে পরিণত হওয়ার সময়ে দ্বিতীয় তলাটি যুক্ত করা হয়। ভবনটির সামনে একসময় বাগান ছিল, তাতে দুটি খেজুর গাছ গজিয়েছিল; যার মধ্য হতে একটি বর্তমানে অবশিষ্ট রয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Mountain, Alan (২০০৪)। An Unsung Heritage: Perspectives on Slavery। New Africa Books। পৃষ্ঠা 92। আইএসবিএন 9780864866226 
  2. মহীন, রীয়াদ (১৯ জুলাই ২০২০)। "বো-কাপ পুরোটাই যেন স্বাধীনতার রঙ"বাংলা ট্রিবিউন। ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০ 
  3. Fransen, Hans (২০০৪)। The Old Buildings of the Cape। Jonathan Ball Publishers। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 1868421910 
  4. Mountain, Alan (২০০৪)। An Unsung Heritage: Perspectives on Slavery (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ আফ্রিকা বুকস। পৃষ্ঠা ৯২। আইএসবিএন 9780864866226