পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি

পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (সংক্ষেপে পিএলসি) হলো এক ধরনের সীমিত দায়বদ্ধ কোম্পানি, যা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শেয়ার ছাড়তে পারে।[] যুক্তরাজ্যকমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে এ ধরনের কোম্পানিকে "পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি" বলা হয়, আর যুক্তরাষ্ট্রে একে "পাবলিক কোম্পানি" নামে অভিহিত করা হয়।

বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সাধারণত ন্যূনতম সাতজন হয়ে থাকে এবং শেয়ারের পরিমাণ কোম্পানির স্মারকলিপিতে বর্ণিত সীমা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। এসব কোম্পানি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে এবং তাদের শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির দায়বদ্ধতার সীমাবদ্ধতার আওতায় থাকেন।[][]

প্রকারভেদ

সম্পাদনা

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত:[]

  1. সরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি: যেসব পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা বা শেয়ারহোল্ডিং কমপক্ষে ৫১% এবং পরিচালনার দায়িত্ব সরাসরি সরকারের হাতে থাকে, সেগুলোকে সরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলা হয়। এ ধরনের কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য হতে পারে জনসেবা প্রদান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
  2. বেসরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি: যেসব পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে সরকার কিয়দংশ শেয়ার ধারণ করে, যেমন ৩০% বা ৪০% শেয়ার, সেগুলোকে আধা-সরকারি কোম্পানি বা বেসরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলা হয়। এসব কোম্পানিতে সরকারি ও বেসরকারি মালিকানার সংমিশ্রণ দেখা যায়। সাধারণত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলো এই শ্রেণিতে পড়ে।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
  1. "Guide to public limited companies (PLCs)"BizSpace (ইংরেজি ভাষায়)। এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-২৪ 
  2. ইব্রাহীম, আনােয়ার (১১ আগস্ট ২০২৩)। "কোম্পানির নাম পরিবর্তন হচ্ছে যে কারণে"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-২৪ 
  3. ফিল্ড ম্যানুয়াল (পিডিএফ)। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।