পাথরঘাটা হানাদার মুক্ত দিবস

বাংলাদেশের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা ১৯৭১ সালের ২ রা ডিসেম্বর (মতান্তরে ২৭ নভেম্বর[১]) পাক-হানাদার মুক্ত হয়। তাই প্রতিবছর ২ রা ডিসেম্বর এ উপজেলায় পাথরঘাটা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়।[২][৩][৪]

পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৯ নম্বর সেক্টরের বুকাবুনিয়া সাব সেক্টরের আওতায় ছিলো।

পটভূমি সম্পাদনা

১৯৭১ সালের ১লা ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরেই পাথরঘাটা আক্রমণ করে উপজেলাটিকে হানাদার মুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি ট্রুপে ভাগ হয়ে ভোররাতে আক্রমণ করে। প্রথমে পার্শ্ববর্তী বিষখালী নদীর অপরতীর থেকে আক্রমণ শুরু হয়। পরে শহরের তিন দিক থেকে এক যোগে ফায়ারিং শুরু হলে রাজাকার সহ পাকিস্তান হানাদারবাহিনীর দোসররা পলিয়ে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিনের বক্তব্য অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর পাথরঘাটা হানাদানার মুক্ত হয়।[২][৪]

রাজাকার, হানাদারদের বিচার সম্পাদনা

ঐদিন কাক ডাকা ভোরেই বিষখালী নদী পার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু রাজাকার, আলবদর, শান্তি কমিটির সদস্য ও তাদের দোসরদের আটক করে পাথরঘাটা থানার উন্মুক্ত মাঠে গণ আদালতে তাদের হাজির করা হয়। গণ আদালতে যুদ্ধকালিন সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের গুলি দিয়ে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে হাতেম রশেদী, সেকান্দার ডাক্তার, হাসেম হাজী অন্যতম।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "পাথরঘাটা হানাদারমুক্ত দিবস পালিত | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭ 
  2. "পাথরঘাটা হানাদার মুক্ত দিবস আজ"BIJOY TV (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-০২। ২০২০-১২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭ 
  3. "আজ পাথরঘাটা মুক্ত দিবস"www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৭ 
  4. "আজ পাথরঘাটা মুক্ত দিবস"বাংলার চোখ