পাটনা কলেজ
পাটনা কলেজ ব্রিটিশ রাজের সময়ে ১৮৬৩ সালে[১] প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ভারতের বিহার রাজ্যের প্রাচীনতম মহাবিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। এটি বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যধারার পাশাপাশি বিবিএ, বিএমসি ও বিসিএ-এর মতো কিছু বৃত্তিমূলক পাঠ্যধারার প্রস্তাব করে। মহাবিদ্যালয়টি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।[২] এটি বিহারের উচ্চ শিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান হিসেবেও বিবেচিত হয়।[৩]
![]() পাটনা কলেজের সীলমোহর | |
অন্যান্য নাম | পিসি |
---|---|
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ৯ জানুয়ারি ১৮৬৩ |
অধিভুক্তি | পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক (ড.) অশোক কুমার |
অবস্থান | , ভারত ২৫°৩৭′ উত্তর ৮৫°১০′ পূর্ব / ২৫.৬২° উত্তর ৮৫.১৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ওয়েবসাইট | patnacollege |
![]() | |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
পাটনা কলেজ বিহারের উচ্চ শিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। এই মহাবিদ্যালয়ে পাটনার প্রায় প্রতিটি বড় মহাবিদ্যালয় - পাটনা আইন কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, পাটনা), পাটনা সায়েন্স কলেজ ও বানিজ্য মহাবিদ্যালয় - এর শিকড় রয়েছে। পাটনা কলেজ ব্রিটিশ রাজের সময় ১৮৬৩ সালের ৯ই জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
পুরানো পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫২ সালের ২রা জানুয়ারি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভক্ত হওয়ার পরে, প্রতিষ্ঠানটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখেছিল। ১৯৫২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, মহাবিদ্যালয়টি একটি সরকারি মহাবিদ্যালয় ছিল এবং এটি একটি স্বতন্ত্র একক হিসাবে কাজ করেছিল, কিন্তু পরে এটি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্তর্নিহিত মহাবিদ্যালয়ে পরিণত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষা ব্যবস্থা স্থানান্তরের কারণে শুধুমাত্র স্নাতক অধ্যয়নের কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
দুই বছরের বিশেষ সম্মান-শিক্ষা কেন্দ্রীকরণের পরও সব কলা বিষয়ের অনার্স এই মহাবিদ্যালয়ে থেকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মহাবিদ্যালয়ের কলা অনুষদের মনোনীত শিক্ষকগণ অনার্সের পাঠদান করেন।
ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর বিভাগগুলি ব্যতীত সমস্ত বিভাগগুলিকে ১৯৫৭ সালের দরভাঙ্গা হাউসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। যদিও পাটনা কলেজের অনেক শিক্ষক এখনও দারভাঙ্গা হাউসের বিভাগগুলিতে যোগ দিয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার দায়িত্ব বহন করে।
অর্থনীতি বিভাগটি ১৯৭৪ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর পাটনা কলেজ থেকে বিভক্ত হয়ে বাণিজ্য মহাবিদ্যালয় রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে মহাবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণেই বণিজ্য মহাবিদ্যালয় স্থিত রয়েছে।
বিদ্যায়তন ও ভবনসম্পাদনা
মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্লকটি সমস্ত ভবনের মধ্যে প্রাচীনতম। এটি মহাবিদ্যালয় চালু হওয়ার অনেক আগে ১৭ শতকে একটি আফিম ভাণ্ডার ও একটি ডাচ কারখানার স্থান ছিল। অন্যান্য ভবনগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধীরে ধীরে নির্মিত হয়েছিল।
বিভাগসম্পাদনা
কলা ও বাণিজ্যসম্পাদনা
- ইংরেজি
- হিন্দি
- উর্দু
- মৈথিলী
- বাংলা
- সংস্কৃত
- আরবি
- ফার্সি (ফারসি)
- ইতিহাস
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- মনোবিজ্ঞান
- দর্শন
- সমাজবিজ্ঞান
- ভূগোল
- গণ যোগাযোগ
- প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ চৌধুরী, উদয় নারায়ণ (৮ জানুয়ারি ২০১২)। "Patna College turns 150"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। টিএনএন। ১ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Colleges of Patna University"। www.patnauniversity.ac.in। ৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "CM promises all help to Patna College for growth"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। পাটনা। টিএনএন। ১০ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২২।
গ্রন্থপঞ্জিসম্পাদনা
- এস কে সিনহা (১৯৯২)। A Soldier Recalls। ল্যান্সার ইন্টারন্যাশনাল, নতুন দিল্লি। আইএসবিএন 9788170621614। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২২।
- সুজিত মুখোপাধ্যায় (১৯৯৬)। Autobiography Of An Unknown Cricketer। রবি দয়াল পাবলিশার, নতুন দিল্লি। আইএসবিএন 9788175300019। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২২।