দ্যা ১২১৩৭/১২১৩৮ পাঞ্জাব মেইল ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সেন্ট্রাল রেলওয়ে জোন এর একটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন।

পাঞ্জাব মেইল

ট্রেনটি ভারতের মুম্বাই ও ফিরোজপুর এর মধ্যে চলাচল করে থাকে। ট্রেনটি মুম্বাই সিএসটি হতে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে ১২১৩৬ নং ট্রেন এবং ফিরোজপুর হতে পুনরায় মুম্বাই সিএসটিতে ফিরে আসতে ১২১৩৮ নং ট্রেন হিসাবে পরিচালিত হয়ে থাকে। মুম্বাই ও ফিরোজপুর এর মধ্যে দৈনিক নিয়মিত চলাচলকারী দুটি ট্রেন এর মধ্যে এটি একটি। অপর ট্রেনটি হচ্ছে ফিরোজপুর জনতা এক্সপ্রেস।

ইতিহাস সম্পাদনা

এটি ভারতের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন এক্সপ্রেসগুলোর মধ্য অন্যতম প্রাচীন একটি এক্সপ্রেস। এক্সপ্রেসটি ১৯১২ সাল হতে( ১০৫ বছর) ভারতের অভ্যন্তরে চলাচল করে আসছে। ধারণা করা হয় এক্সপ্রেসটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯১২ সালের ১ জুন। তখন ট্রেনটি পরিচিত ছিলো পাঞ্জাব লিমিটেড হিসাবে এবং প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি ব্রিট্রিশ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জেন্ট এবং তাদের পরিবারবর্গকে ব্যালার্ড পিয়ার হতে পেশোয়ার এবং দিল্লি ও ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে পরিবহন করত। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি অপর একটি ট্রেন দ্যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেস, যা ১৯২৯ সালের ১ জানুয়ারী হতে চলাচল করে, তা হতেও পুরাতন। ১৯১৪ সালে পাঞ্জাব মেইল এর যাত্রা শুরুর স্টেশন পরিবর্তন করে ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে পুনরায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ফিরোজপুরে নিয়ে আসা হয়।

কোচসমূহ সম্পাদনা

বর্তমানে দ্যা ১২১৩৭/১২১৩৮ পাঞ্জাব মেইল এর ১টি এসি ফার্স্ট ক্লাস কাম এসি ২ টিয়ার কোচ, ১ টি এসি ২ টিয়ার কোচ, ১ টি এসি ২ কাম এসি ৩ টিয়ার কোচ, ৫ টি এসি ৩ টিয়ার কোচ, ১০ টি স্লীপার ক্লাস কোচ, ৩ টি সাধারণ আনরিজার্ভড কোচ এবং ১ টি প্যানট্রি কার রয়েছে।

ভারতের অধিকাংশ ট্রেন সার্ভিসের ক্ষেত্রেই অবশ্য প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে ভারতীয় রেলওয়ে ট্রেনের কোচ কম্বিনেশনের উপর যে কোনও পরিবর্তন আনতে পারে।

পাঞ্জাব মেইল অবশ্য একটি রেলওয়ে মেইল কোচও পরিবহন করে থাকে। আর এ কারণেই এক্সপ্রেসটির নামের সাথে মেইল শব্দটি যু্ক্ত হয়েছে।[১]

সার্ভিস সম্পাদনা

পাঞ্জাব মেইল ১২১৩৭ নং ট্রেনটি ৩৪ ঘণ্টা ০০ মিনিটে ১৯৩০ কিলোমিটার(৫৬.৭৬ কিমি/ঘণ্টা) পথ অতিক্রম করে এবং পাঞ্জাব মেইল ১২১৩৮ নং ট্রেনটি ৩৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটে ১৯৩০ কিলোমিটার(৫৬.৯০ কিমি/ঘণ্টা) পথ অতিক্রম করে।

ইন্ডিয়ান রেলওয়ের নিয়মানুসারে যেহেতু ট্রেনটির গড় গতি ৫৫ কিমি/ঘণ্টা(৩৪ মাইল/ঘণ্টা), তাই এটিকে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ব্যবহৃত ইঞ্জিন সম্পাদনা

পূর্বে ট্রেনটিকে ৩ টি লোকোমোটিভ পরিচালনা করত। একটি ডুয়েল ট্রাকশন ডাব্লিউসিএএম ৩ ইঞ্জিন ট্রেনটিকে মুম্বাই সিএসটি হতে ইগতপুরি পর্যন্ত নিয়ে যেত। এরপর ঘাজিয়াবাদ হতে একটি ডাব্লিউএপি ৪ ইঞ্জিন ট্রেনটিকে নয়া দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যেত এবং শেষ পর্যন্ত একটি ডাব্লিউডিপি ৪ ইঞ্জিন ট্রেনটিকে ভগত কি কথি হতে বাকি পথ নিয়ে গিয়ে এর শেষ স্টেশন ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট এ পৌঁছাতো।

সেন্ট্রাল রেলওয়ে ২০১৫ সালের ৬ জুন এর এসি-ডিসি কনভারশন সম্পন্ন করার পর বর্তমানে ট্রেনটি মুম্বাই সিএসটি হতে একটি ডাব্লিউএপি ৪ ইঞ্জিন দ্বারা নয়া দিল্লি পর্যন্ত পরিচালিত হয় এবং একটি ডাব্লিউডিপি ৪ লোকোমোটিভ দ্বারা ভগত কি কথি হতে এর শেষ গন্তবব্যস্থল ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত পরিচালিত হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Punjab Mail"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা