পশ্চিম ফিরোজশাহ কলোনি

জনাব ফিরোজ শাইঁ'য়ের নামানুসারে এলাকার নাম কিনা জানিনা, তবে কোন কোন আন্টি-আঙ্কেলের মুখে কোন এক পাকিস্তানি লোকের কথাও শুনছি। এটা অনেকটা দুবাই টাইপ এলাকা।সব জেলার মানুষই পাওয়া যায় এলাকায়, দেশের বাইরের লোকও আছে,,,যেমন স্বাধীনতার আগে এটা বিহারি কলোনি ছিলো। অনেক চান্দিপোড়া এখনো আছে অনেক। এয়্যছে ভে্য্যছে হোতা হায়, বোলতা হায় করি কথা বলে এরা। তবে তারা পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনিতে বেশি। পশ্চিম ফিরোজশাহ তে মোটে একটা আছে ফ্যামিলি।এলাকাটা আয়তকার,,,,দশটা লাইন, প্রতিটিতে চৌদ্দটা করে বাসা। একশো সাতচল্লিশটা বাসা। দশটা লাইনকে রেল লাইনের মত দুইটা বড় রাস্তা দুই পাশ দিয়ে জোড়া দিছে। এ থেকে কে লাইন। কে লাইন আবার হাফ,,পুরাটা নাই। তাই সাতটা বাসা। বাকি হাফ পাশের নিউ মনছুরাবাদ নামে একটা এলাকার পরে গিয়ে দিছে। ওখান দিয়ে আবার পুর্ব ফিরোজশাহ কানেক্টেড। দুইটা সরকারি কোয়ার্টার আছে। ট্যাক্স অফিসের কেয়ার্টার ছিলো চল্লিশটা, ওগুলা এখন দশতলা। কোটি কোটি মানুষ।আমাদের বাসা গুলাও এখন প্রয় ৮০% ৫/৬/৭ তলা বিল্ডিং,,,, বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ।আগে এলাকায় ডাইনোসর ছিলো,,,কিন্তু গাছের কারনে দেখা যাইতো না ;এত গাছ ছিলো।লুকাই থাকতো।এলাকার সাথের লাগানো ঢাকা চিটাগাং রেল লাইন।ওটাই এলাকার সীমানা। আগে রেলের খালি জায়গায় গনি মোল্লা চাষ বাশ করতো,,,,ধান গাছও ছিলো। ওখান থেকে মুরগির মত বকের ডিম খাইছি। এখন টিনের বস্তি। ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মানুষ। গাছ পাখি কমে ইট মানুষ বাড়ছে। শতখানেক জানালা দেখা যায় বারান্দায় গেলে।রেল লাইনের পড়েই পাহাড়। তারপরও পাহাড়। ছাদের উঠলে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, পুবে পাহাড় ,উত্তরে শহরের শুরু আর দক্ষিনে সারা শহর। এলাকায় একটা মসজিদ,একটা পুকুর, একটা ঈদগাহ মাঠ,একটি প্রাইভেট স্কুল,দোকান পাট কিছু,পোস্ট অফিস,একটা আবাসিক হোটেল,একটা কৃষি বিপণন অফিস ও একটি শহীদ মিনার আছে। শহীদ মিনারের সাথে লাগানে কাউন্সিলর কার্যালয় কিন্তু সেটাতে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বসে।পশ্চিম ফিরোজশাহ ৯নং ওয়ার্ডে জানতাম, আজকে জানলাম ১০ নাম্বারে। এজন্যই লিখলাম এতকিছু। আচ্ছা,, শুভ রাত্রি।