পরমতসহিষ্ণুতা (ইংরেজি: Toleration) হল সুচিন্তিত বিবেচনা প্রয়োগের মাধ্যমে ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তাধারাকে সহনীয় পর্যায়ে স্থান দেয়া। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও ধর্মের অনুসারী ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রদর্শনকে পরমতসহিষ্ণুতা বলে।[১] এটি গণতন্ত্রের একটি প্রধানতম নিয়ামক। এ বিষয়ে দার্শনিক ভলতেয়ার বলেন, 'আমি তোমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশ করতে দেওয়ার জন্য আমি আমার জীবন দিতে পারি'। ইসলাম ধর্মে আল্লহর নিরানব্বইটি নামের মধ্যে একটি নাম হল আল-হালিম যার অর্থ হল সহিষ্ণু। এছাড়াও ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআনের সূরা বাকারার ২৫৬তম আয়াতে পরমতসহিষ্ণুতাকে নির্দেশ করে বলা হয়েছে,

সহনশীলতা সম্পর্কে একটি রচনা

"ধর্মের ব্যপারে কোন জোরজবরদস্তি নেই।"

এছাড়া বৌদ্ধধর্ম তথা হিন্দুধর্মেও পরমতসহিষ্ণুতা একটি অন্যতম প্রধান মূলনীতি, যার মূলবাক্য হল, "অহিংসা পরম ধর্ম"।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান, শিক্ষক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। (৩০ আগস্ট ২০১৩)। "পরমতসহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতা"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৫