পদ্মা সুব্রহ্মণ্যম
পদ্মা সুব্রমণ্যম (জন্ম: ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩, মাদ্রাজ), হলেন একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। তিনি একাধারে গবেষক, নৃত্য পরিকল্পক, সংগীত রচয়িতা, সংগীতজ্ঞ, শিক্ষক, ভারততত্ত্ববিদ এবং লেখক। তিনি ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও বিখ্যাত; জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়ার মতো দেশ তাঁর সম্মানে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্র তৈরি করেছে। তিনি 'ভারত নৃত্যম' নৃত্য ধারার বিকাশক এবং প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে সুপরিচিত। তিনি কাঞ্চির পরমাচার্যের ভক্ত।[১][২][৩]
পদ্মা সুব্রমণ্যম | |
---|---|
জন্ম | ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ মাদ্রাজ প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | এথিরাজ কলেজ ফর উইমেন |
পেশা | নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক, সংগীতকার, সুরকার, শিক্ষক এবং লেখক |
পরিচিতির কারণ | ভরতনাট্যম |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (১৯৮১) পদ্মভূষণ (২০০৩) |
ওয়েবসাইট | www.padmadance.com |
জীবনী সম্পাদনা
পদ্মা সুব্রমণ্যমের পিতা হলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক কৃষ্ণস্বামী সুব্রমণ্যম এবং মাতা মীনাক্ষী সুব্রমণ্যম। তিনি জন্মেছিলেন ১৯৪৩ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মাদ্রাজে (বর্তমান চেন্নাই)। তাঁর বাবা একজন বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন এবং তাঁর মা মীনাক্ষী তামিল এবং সংস্কৃত ভাষার সুরকার এবং গীতিকার ছিলেন। তিনি ভাঝুভূর বি. রামাইয়া পিল্লাইয়ের কাছ থেকে নৃত্যের প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।[১][২][৩] মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে তিনি তাঁর বাবার নৃত্য বিদ্যালয়ে নাচ শেখাতে শুরু করেছিলেন। তিনি অনুভব করেছিলেন যে ইতিহাস, তত্ত্ব এবং নৃত্যের মধ্যে কোথাও যেন কোনও ব্যবধান রয়েছে এবং তিনি নিজেই এই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন।[৪] ১৯৫৬ সালে তাঁর রঙ্গপ্রবেশ (মঞ্চাভিষেক) হয়েছিল।[৫]
তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মনফোর্ট রুকমণি দেবী, মহারাজা অগ্রসেন এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং শিশুদের জ্ঞান দান করেছেন। পদ্মার সংগীতে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে, এন্থ্রোমিউজিকোলজি (যাঁরা সঙ্গীতটি তৈরি করেছেন, তাঁদের সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক দিক থেকে সঙ্গীতকে বোঝা) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে, পাশাপাশি, তিনি প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক এবং পদ্মভূষণ প্রাপক কুথুর রামকৃষ্ণন শ্রীনিবাসনের পরিচালনায় নৃত্যে পিএইচডি করেছেন।[৬] ভরতনাট্যমের ভঙ্গিমার ৮১ টি করণকে চিত্রিত করে যে ভরতনাট্যম নৃত্য তার ওপর ভিত্তি করে তাঁর পিএইচডি তিনি সম্পন্ন করেছিলেন। [৬] তিনি অনেক নিবন্ধ, গবেষণা কাগজপত্র এবং বই রচনা করেছেন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য ইন্দো-উপ-কমিশনের একজন বেসরকারী সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি সাতারার নটরাজ মন্দিরের জন্য কালো গ্রানাইট পাথরে ভগবান নটরাজ এবং দেবী পার্বতীর ১০৮টি ভাস্কর্যের নকশা করেছেন, তিনি কাঞ্চির পরমাচার্যের প্রস্তাবে এই কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংযোগের বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।[১][৩]
পুরস্কার সম্পাদনা
পদ্মা সুব্রমণ্যম ১৯৮১ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৩ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন, যা ভারত সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলির অন্যতম। তাঁর নাচের জীবনে, তিনি শতাধিক পুরস্কার পেয়েছেন; সেগুলির মধ্যে কিছু হল:[১][২]
- পদ্মশ্রী (১৯৮১)
- সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৩)
- পদ্মভূষণ (২০০৩)[৭]
- কালাইমামানি পুরস্কার, তামিলনাড়ু সরকার থেকে
- কালিদাস সম্মান, মধ্য প্রদেশ সরকার থেকে,
- নিশাগন্ধি পুরস্করাম, ২০১৫ সালে কেরল সরকার দ্বারা,[৮]
- চেন্নাইয়ের নারদা গণসভা থেকে নাদ ব্রহ্মম,
- কাঞ্চিপুরমের জগদগুরু শঙ্করাচার্যের থেকে ভারত শাস্ত্র রক্ষামণি।
- নেহেরু পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে
- ফুকুওকা এশিয়ান সংস্কৃতি পুরস্কার, জাপান থেকে, ("এশিয়ার উন্নয়ন ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য")
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ Narthki.com
- ↑ ক খ গ Webindia123
- ↑ ক খ গ Nrithyodhaya Website
- ↑ Khanna, Shailaja (২০১৯-০৫-১০)। "Padma Subrahmanyam on a new style of dance called 'Bharatanrytam'"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২০।
- ↑ "Classically endowed"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২০।
- ↑ ক খ "The man who put Mahabs on the map"। The Times of India। জুলাই ৩১, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-০৫।
- ↑ "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। নভেম্বর ১৫, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫।
- ↑ "Nishagandhi Puraskaram 2014"। Kerala Tourism Department। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২৯।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- India's 50 Most Illustrious Women (আইএসবিএন ৮১-৮৮০৮৬-১৯-৩) by Indra Gupta