নেগোওয়েনিয়া খনি
নেগোওয়েনিয়া খনি (ইংরেজি: Ngwenya Mine) হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকান দেশ সোয়াজিল্যান্ডের বোমভু রিজের কাছে অবস্থিত একটি লৌহখনি। সোয়াজিল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে এর অবস্থান। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো খনি হিসেবে এটি পরিচিত। এ খনিতে মজুদকৃত হেমাটাইট মধ্য প্রস্তর যুগেও ব্যবহার হতো, যা পরবর্তীতে লৌহ উৎপাদন বা লৌহ আকরিক রপ্তানিতে ব্যবহৃত হয়।
অবস্থান | |
---|---|
দেশ | Eswatini |
স্থানাঙ্ক | ২৬°১২′০৬″ দক্ষিণ ৩১°০২′০২″ পূর্ব / ২৬.২০১৭৮° দক্ষিণ ৩১.০৩৩৯৬° পূর্ব |
উৎপাদন | |
পণ্য | Iron ore (and derived specularite) |
ইতিহাস | |
চালু | প্রায় ৪১,০০০ থেকে ৪৩,০০০ বছর পূর্বে (বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন খনি) |
বন্ধ | ২০১৪ |
ঐতিহাসিক খনিকর্ম
সম্পাদনা১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে পরিচালিত কয়েকটি প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানে এখানে খনিকর্ম ঘটার প্রমাণ পাওয়া যায়। রেডিওকার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে যার সময়কাল ২০,০০০ বছরেরও পূর্বের বলে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে রেডিওকার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমেই প্রায় ৪১,০০০ থেকে ৪৩,০০০ বছর পূর্বে এখানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন খনি থেকে আকরিক উত্তোলন করার সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] এই প্রমাণগুলোই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন খনিরূপে প্রতিষ্ঠিত করে।[২][৩] লাল ও স্পেকিউলার হেমাটাইটের মজুদ থাকায় খনিসহ এর আশেপাশের এলাকা ‘আর্লি ম্যান’ নামে পরিচিত। এ সমস্ত খনিজ দ্রব্যাদি সচারচর প্রসাধনী এবং ঐতিহ্যবাহী কাজে ব্যবহৃত হয়।[৪]
আধুনিক খনিকর্ম
সম্পাদনাহেমাটাইট আকরিকে যে পরিমাণ লৌহ সঞ্চিত থাকে তা থেকে ১৯ শতকের মধ্যভাগে ৬০% নিষ্কাশন করা সম্ভব হতো।[৫] ১৯৬৪ সাল থেকে সোয়াজিল্যান্ড আয়রন ওর ডেভলপমেন্ট কোম্পানি (এসআইওডিসি) এখানে খনিকাজ করা শুরু করে।[৫] অ্যাংলো-আমেরিকান কর্পোরেশন এই কোম্পানিটির স্বত্তাধিকারী। একটি জাপানি কোম্পানির সাথে যৌথভাবে আকরিক ক্রয়ের জন্য তাদের দশ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি রয়েছে, যা গোটা বিশ্বে এদের লৌহ আকরিকের সর্ববৃহৎ ক্রেতায় পরিণত করেছে। ১৯৬৪ ও ১৯৭৭ সালে এখানে ওপেন-পিট মাইনিং শুরু হয়, এবং রেললাইন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন তৈরি হয়।[২] এসকল অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি সাময়িকভাবে যথেষ্ট বিকশিত হয়। এখন পর্যন্ত এই খনি থেকে প্রায় ২ কোটি টন লৌহ নিষ্কাশন করা হয়েছে।[৬] খনির সাথে যুক্ত রেললাইনটি অপরপ্রান্তে মোজাম্বিক রেলওয়ে সিস্টেমের সাথে যুক্ত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Coakley। "The Mineral Industry of Swaziland" (পিডিএফ)। United States Geological Survey। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২২। অজানা প্যারামিটার
|fisrt=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ ক খ "Ngwenya Mines"। UNESCO। 31/12/2008। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Matsebula, J. S. M. (১৯৮৮)। A history of Swaziland। Longman। আইএসবিএন 9780582031678।
- ↑ Dart, R. A.; Beaumont, P. (১৯৬৯)। "Evidence of Iron Ore Mining in Southern Africa in the Middle Stone Age"। Current Anthropology। 10 (1): 127–128।
- ↑ ক খ Waïtzenegger, Jacques A.; Collings, Francis d'A.; Carstens, Reimer O. (১৯৭০)। "The Economy of Swaziland (L'économie du Swaziland) (La economía de Swazilandia)"। Staff Papers - International Monetary Fund। 17 (2): 390–452।
- ↑ Baird, Bill (২০০৪)। "Ancient mining in Swaziland"। The Edinburgh Geologist। 42।