নীলাভ নীল জলপ্রপাত

ইথিওপিয়ার জলপ্রপাত

নীলাভ নীল জলপ্রপাত ইথিওপিয়ার তানা হ্রদ হতে উদ্ভুত নীলাভ নীল নদের উপর অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। এটি আমহারিক ভাষায় তিস আবে নামে পরিচিত, যার অর্থ "বিশাল ধোঁয়া"। ভৌগোলিকভাবে এটি নদীর উর্ধ প্রবাহে এবং তানা হ্রদ ও হ্রদের তীরে অবস্থিত বাহির দার শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) ভাটিতে অবস্থিত। জলপ্রপাতটি ইথিওপিয়ার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।

নীলাভ নীল জলপ্রপাত
শীত মৌসুমে আথাবাস্কা জলপ্রপাত
নীলাভ নীল জলপ্রপাত
লুয়া ত্রুটি মডিউল:মানচিত্রের_কাঠা এর 318 নং লাইনে: attempt to perform arithmetic on local 'lat_d' (a nil value)।
অবস্থানইথিওপিয়া
স্থানাঙ্ক
মোট উচ্চতা১৩৮ ফুট (৪২ মিটার)
মোট প্রস্থ১,৩১২.৩৪ ফুট (৪০০.০০ মিটার)
জলপ্রবাহনীলাভ নীল নদ

ভৌগোলিক অবস্থা সম্পাদনা

জলপ্রপাতটির উচ্চতা ৪২ মিটার,[১] যা চারটি স্রোতের সমন্বয়ে গঠিত। শুষ্ক মৌসুমে এটির শ্রোত শীর্ণ হলেও বর্ষাকালে বা সর্বোচ্চ পানি প্রবাহের সময় এটির প্রস্থ ৪০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তানা হ্রদের পানি প্রবাহের নিয়ন্ত্রণ প্রপাতটির বৈচিত্র্য কিছুটা কমিয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে একটি নদের উপর নির্মিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্ষাকাল ছাড়া জলপ্রপাতের বেশিরভাগ প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে।[২] জলপ্রপাতটি নীল নদের বাকী অংশের বাস্তুশাস্ত্র থেকে তানা হ্রদের বাস্তুসংস্থানকে বিচ্ছিন্ন করে এবং এই বিচ্ছিন্নতা হ্রদের স্থানীয় প্রাণীজগতের বিবর্তনে ভূমিকা পালন করেছে।[৩]

সম্পর্তিক ইতিহাস সম্পাদনা

১৬২৬ সালে সম্রাট সাসনিয়সের নির্দেশে ইথিওপিয়ায় প্রথম পাথর দিয়ে সেতু নির্মাণ হয়েছিল, সেতুটি জলপ্রপাত থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত। ম্যানুয়েল দে আলমেইদার মতে, সেতুটির চুন তৈরির জন্য পাথর উপনদী আলাতার পাশে পাওয়া গিয়েছিল। ইথিওপিয়ার ক্যাথলিক প্যাট্রিয়ার্ক আফনসো মেন্ডেস নির্মাণের তত্ত্বাবধান করেছিলেন। সেতু নির্মাণের একজন কারিগর ভারত থেকে এসেছিলেন।[৪]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Blue Nile Falls | Tis Abay | Brilliant Ethiopia | Brilliant Ethiopia"brilliant-ethiopia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১০ 
  2. Matt Philips and Jean-Bernard Carillet, Ethiopia and Eritrea, third edition (n.p.: Lonely Planet, 2006), p. 118
  3. "526: Lake Tana" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে, Freshwater ecosystems of the world website (accessed 11 November 2009)
  4. C.F. Beckingham and G.W.B. Huntingford, Some Records of Ethiopia, 1593-1646 (London: Hakluyt Society, 1954), pp. 26f