নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা
নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলাটি দশম সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা।[২]
নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা জেলা | |
---|---|
অরুণাচল প্রদেশের জেলা | |
অরুণাচল প্রদেশে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
সদরদপ্তর | রোয়িং |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫৩,৯৮৬[১] |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭০.৪%[১] |
• লিঙ্গানুপাত | ৯০৯[১] |
১৯৮০ সালের জুন মাসে লোহিত জেলা ভেঙে দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়[৩] এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিবাং উপত্যকা জেলা ভেঙে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়।[৩] এই জেলার জেলা সদর হল রোয়িং।[৪]
বিভাগ
সম্পাদনাঅরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ডাম্বুক ও রোয়িং আসনদুটি এই জেলায় অবস্থিত, যা অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অংশ।[৫]
জনপরিসংখ্যান
সম্পাদনা২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, নিম্ন দিবাং উপত্যকার জনসংখ্যা ৫৩,৯৮৬[১], যা সেন্ট কিটস ও নেভিস রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলা ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৬৩০তম স্থানের অধিকারী।[১] জেলার জনঘনত্ব ১৪ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩৬ জন/বর্গমাইল) [১] এবং ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৭.০১%।[১] নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯১৯ জন নারী।[১] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭০.৩৮%.[১]
ভাষা
সম্পাদনাএই জেলায় লুপ্তপ্রায় সিনো-তিব্বতীয় ভাষাগোষ্ঠীর মিশমি ও আদি ভাষায় কথোপকথনকারী ৩০,০০০ মানুষ বাস করেন।[৭]
উদ্ভিদ ও প্রাণী
সম্পাদনাএই জেলায় বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্য পরিরক্ষিত হয়। এখানে মিশমি টাকিন, রেড গোরালের মতো দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির প্রাণীর পাশাপাশি দেখা যায় হাতি, বুনো জলমহিষ ইত্যাদি প্রাণীও। দুষ্প্রাপ্য স্ক্ল্যাটারস মোনাল্ম ব্লিথস ট্র্যাগোপান, রুফোস-নেকড হর্নবিল, বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান, হোয়াইট-উইংড উড ডাক ইত্যাদি পাখিও দেখা যায়।[৮] এছাড়াও মিশমি পাহাড়ে উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি দেখা যায়।[৯]
১৯৮০ সালে এই জেলায় মেহাও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ২৮২ কিমি২ (১০৮.৯ মা২)।[১০]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "District Census 2011"। Census2011.co.in। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "districtcensus" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ ক খ Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"। Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১।
- ↑ "Official Website of the Lower Dibang Valley District"। ২৬ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Saint Kitts and Nevis 50,314 July 2011 est.
line feed character in|উক্তি=
at position 22 (সাহায্য) - ↑ M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Galo: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- ↑ Choudhury, Anwaruddin (2008) Survey of mammals and birds in Dihang-Dibang biosphere reserve, Arunachal Pradesh. Final report to Ministry of Environment & Forests, Government of India. The Rhino Foundation for nature in NE India, Guwahati, India. 70pp.
- ↑ Choudhury,Anwaruddin (2009).One more new flying squirrel of the genus Petaurista Link, 1795 from Arunachal Pradesh in north-east India. The Newsletter and Journal of the RhinoFoundation for nat. in NE India 8: 26–34, plates.
- ↑ Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Arunachal Pradesh"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা