নিমকি বা নিমকিন (বা নমকিন), এছাড়াও নমক পারা নামে পরিচিত এই কুড়কুড়ে সুস্বাদু খাবারটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে। রাজস্থান এবং পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে মাঠরি বলে যে খাদ্যবস্তুটি প্রস্তুত হয় তার সাথে নিমকির অনেক সাদৃশ্য আছে। নিমকি খসখসে, কুঁচকে যাওয়া, বিভিন্ন স্তরযুক্ত একটি নোনতা স্বাদের জলখাবার যা প্রায়শই সন্ধ্যাবেলার জলখাবার হিসাবে চা বা কফির সাথে পরিবেশন করা হয়।[১]

নিমকি
অন্যান্য নামনমক পারা, নমকিন
ধরনজলখাবার
উৎপত্তিস্থলভারতীয় উপমহাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যভারতীয় উপমহাদেশ

নিমকির নামকরন হয়েছে নমক শব্দ থেকে যার অর্থ হল নুন বা লবণ। নোনতা স্বাদের জন্য এইরূপ নামকরন করা হয়েছে।

প্রস্তুতি সম্পাদনা

অঞ্চলভেদে নিমকি প্রস্তুত করার অনেক রকম রন্ধনপ্রনালী আছে কিন্তু অধিকতম প্রনালী সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম রেখে প্রায় একই উপাদান ও পদ্ধতি অনুসরণ করে। নিমকি তৈরির প্রথম ধাপ হল একটি পাত্রে সাধারণ ময়দা, জিরা, তেল/ঘি এবং লবণ একত্রিত করে ভালো করে মেশান। তারপর পাত্রে ধীরে ধীরে জল মিশিয়ে মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মেখে একটি আধা শক্ত মন্ড প্রস্তুত করা হয়।[২] তারপর এই মন্ডটিকে চাপা দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দেওয়ার পর এর থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে তাকে গোল করে বেলে রুটির আকার দেওয়া হয়। এই প্রস্তুত রুটির উপরে অনেকে কালো জিরা ছড়িয়ে দেয়। তারপর এই প্রস্তুত রুটির উপর ছুরি দিয়ে সমান্তরাল ও কাটাকুটিভাবে কিছু দাগ দিয়ে চৌকোনা আকৃতির মত কেটে নেয়া হয়। তারপর এই কেটে নেওয়া চৌকোনা আকৃতিগুলিকে তেলে ভেজে নিমকি প্রস্তুত করা হয়।[২] একে গরম গরম ভেজে খাওয়া হয় অথবা পরে খাওয়ার উদ্দেশে কোনও আবদ্ধ পাত্রে সংরক্ষিত করে রাখা হয়।

রান্নার প্রস্তুতিতে প্রায় ১০ মিনিট এবং রান্না করতে প্রায় ২০ মিনিটের মতো সময় প্রয়োজন হয়। চেহারা, স্বাদ এবং আকারে একে শিঙারা বা প্যাস্ট্রির সাথে তুলনা করা হয়।

কালো জিরা ছাড়াও অনেকে নিমকির উপর শুকনো মেথি পাতা, শুকনো পুদিনা পাতা ইত্যাদি দিয়েও সজ্জিত করে। নিমকিতে অনেকে সুজি বা বেকিং পাউডারও ব্যবহার করে। বাচ্চারা এই খাবারটি বিশেষ পছন্দ করে। বর্তমানে এটি ভারতীয় উপমহাদেশের খুবই জনপ্রিয় জলখাবার।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা