নিকাব
নিকাব (/nɪˈkɑːb/; আরবি: نِقاب niqāb, "[face] veil") একে রুব্যান্ডও বলা হয়, এটি একটি পোশাক যা মুখ ঢেকে রাখে, অনেক মুসলিম নারী এটি পরিধান করে হিজাবের বিকল্প বা অংশ হিসেবে।
বর্ণনাসম্পাদনা
নিকাব হলো বোরখার মতই, তবে এতে চোখের ওপর কোনও আবরণ থাকেনা। এটি হিজাব ও জিলবাব-এর মতোই তৃতীয় আরেকটি পোশাক। এই পোশাকের উল্লেখ রয়েছে কোরআনে৷ সম্মিলিতভাবে এটি ধর্মীয় পর্দার পরিপূর্ণতা প্রদান করে।
প্রচলনসম্পাদনা
আজ, নিকাব প্রায়শই তার উৎসের অঞ্চলে পরা হয়: আরব উপদ্বীপের আরব দেশগুলি - সৌদি আরব, ইয়েমেন, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মীয় বিধান পালনে নারীরা নিকাব পরে থাকেন। নিকাব একটি সর্বজনীন প্রথা বা সাংস্কৃতিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়। তবে কিছু ধর্মে নারীদের চেহারা ঢাকার নির্দেশনা রয়েছে জন্য অনেকেই নিকাব পরেন। যেমনঃ ইসলাম ও ইহুদি ধর্মে।
নিকাবের ইতিহাসসম্পাদনা
নারী সাহাবীদের নিকাবসম্পাদনা
নবী মুহাম্মদের ﷺ-এর যুগে নারীরা নিকাব পরতেন।
- মুহাম্মদ ﷺ বলেন,
'হজ্বের ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মহিলাগণ মুখে নিকাব এবং হাতে হাত মোজা যেন না পরে। (কেননা সেলাই করা জিনিস হজ্বে পরিধান করা নিষেধ।)' [১]
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) বলেন, হাদিসটি থেকে বুঝা যায়, তখনকার সময়ে নিকাব পরার প্রচলন ছিল। [২]
- হযরত আসমা (রাঃ) বলেন,
'আমরা পর পুরুষের সামনে আমাদের চেহারা ঢেকে রাখতাম।' [৩]
উসমানী খেলাফতকালে নিকাবসম্পাদনা
উসমানীয় খেলাফতকালে ইমাম আবু হানীফা (রঃ)এর মাযহাব চলতো। নারীরা বাইরে বের হলে সকলে কালো নিকাব পরতো। সেটা হতো কালো রেশমী কাপড়ের বা সাধারণ কাপড়ের নিকাব। নিকাব পাতলা কাপড়ের হতো না। কেউ যদি তা না পরে বের হতো, তাহলে সেটা হতো তার দারিদ্র্যতার প্রকাশ।[৪]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ সহীহ বুখারী-১৮৩৮
- ↑ মাজমূ ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-২২/১০৯,১১৪
- ↑ মুসতাদরাকে হাকীম ২/১০৪ আরো দেখুন:তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৮০৪; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৬৯; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৩২৪, ৪৭৫৭, ১৮৩৮; ফাতহুল বারী ২/৫০৫, ৮/৩৪৭; উমদাতুল কারী ৪/৩০৫
- ↑ আল-ইকতেসাদিয়্যাহ, ৮ই মার্চ ২০১৯ https://www.aleqt.com/2019/03/08/article_1556396.html
https://www.kalerkantho.com/amp/online/muslim-world/2021/03/08/1011945