নাসরিন সতৌদে

ইরানের একজন মানবাধিকার আইনজীবী।

নাসরিন সতৌদে (ফার্সি: نسرین ستوده) ইরানের একজন মানবাধিকার আইনজীবী। তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সহ ২০০৯ সালের জুন মাসের বিতর্কিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইরানের বিরোধী নেতাকর্মী ও রাজনীতিকদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১] তার ক্লায়েন্টরাদের মধ্যে সাংবাদিক ইসা সাহরখিজ, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদি এবং হেশমত তাবারজাদীকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।[২] তিনি হিজাব ছাড়া প্রকাশ্যে হাজির হওয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত মহিলাদেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যা ইরানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।[৩] নাসরিন সতৌদে ২০২০ সালের তথ্যচিত্রনাসরিন এর বিষয় ছিল, এই তথ্যচিত্রে ইরানে গোপনে দৃশ্যধারণ করে "নারী, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য চলমান লড়াই" সম্পর্কে চিত্রিত হয়েছে।"[৪] তিনি ২০২১ সালে তথ্যচিত্রের বিষয়ে ঘোষণা করার সময় পৃথিবী 100 প্রভাবশালী ব্যক্তি মধ্যে ছিলেন।[৫]

নাসরিন সতৌদে

জীবন সম্পাদনা

তাকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অপপ্রচার ছড়ানো এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়[১] এবং ইভিন কারাগারে নির্জন কারাগারে বন্দী করা হয়।[৬] ইরানের কর্তৃপক্ষ ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে আইন চর্চা ও ২০ বছরের জন্য দেশ ত্যাগ করতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ১১ বছর কারাদণ্ড প্রদান করে। সেই বছরের পরে, একটি আপিল আদালত তার সাজা কমিয়ে ছয় বছর করে এবং তার দেশ ত্যগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দশ বছর করে।

২০১৮ সালের জুন মাসে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০১৯ সালের ১২ মার্চ তেহরানে কারাগারে দণ্ডিত করা হয়, বেশ কয়েকটি জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর। যদিও তেহরানের একজন বিচারক ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে তাকে সাত বছর কারাভোগ করার সাজা দেওয়া হয়েছে, অন্যান্য সূত্রের খবর অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৪৮ টি বেত্রাঘাত সহ ছয়টি অন্যান্য রায় এবং মোট ৩৮ বছরের সাজা রয়েছে। যাইহোক, পরে সাজা কমিয়ে মোট ১০ বছর করা হয়েছিল। তিনি এখনও ঘরচেকে আছেন।[৭]

কাজ ও কার্যকলাপ সম্পাদনা

তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন ইরানের আবাসন মন্ত্রণালয়ের আইনি অফিসে এবং দুই বছর পর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক তেজারাতের আইনি বিভাগে যোগদান করেন। ব্যাংকে থাকাকালীন তিনি "আলজেরিয়া আদালত তলব করার সময়" যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার বিরোধের ক্ষেত্রে ইরান দ্য হেগ -এ উপস্থাপিত অনেক মামলার আইনি প্রস্তুতি এবং আইনি যুক্তি তৈরিতে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Iran opposition lawyer Nasrin Sotoudeh detained"BBC News। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১০ 
  2. "Iran: Lawyers' defence work repaid with loss of freedom"। Human Rights Watch। ১ অক্টোবর ২০১০। ২৭ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১১ 
  3. "Nasrin Sotoudeh: Iranian human rights lawyer jailed for 38 years, say family"BBC News। ১২ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৯ 
  4. "'Nasrin' Review: Righting Wrongs in Iran"NYT। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. "Nasrin Sotoudeh: The 100 Most Influential People of 2021"Time (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৮ 
  6. "Jailed Iran Lawyer 'Gets Family Visit, Ends Hunger Strike'"Radio Farda। ২৬ অক্টোবর ২০১০। ২৬ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১০ 
  7. "Irans tapferste Frau"www.zdf.de (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৩ 
  8. Syma Sayyah (২৯ মে ২০০৭)। "Nasrin Sotoudeh: The Ardent, Passionate and Dedicated Attorney at Law"Payvand। ২৮ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১১