নাইটিনল

রাসায়নিক যৌগ

নাইটিনল হলো এমন এক ধরনের ধাতু যাকে বিকৃতির পর পুর্বের আকৃতিতে খুব সহজেই ফিরিয়ে আনা যায়। অর্থাৎ নাইটিনল দিয়ে কিছু তৈরী করার পর যদি কোনো কারণে এর আকৃতি বিনষ্ট হয়, তো খুব সহজেই এটি পুর্বের অবস্থায় পাওয়া যায়। যেমন ধরা যাক- একটি সোজা নাইটিনল তারকে প্যাচিয়ে বাঁকা করা হল সাথে গিটও দিয়ে দেওয়া হলো। 

এবার এই বাঁকা তারটাকে গরম পানিতে ছেড়ে দিলেই ঘটবে সবথেকে মজার ঘটনা। বাঁকা তারটা খুব দ্রুত সেকেন্ডের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় চলে আসবে, সোজা হয়ে যাবে, গিটও খুলে যাবে। 

শুধু সোজা নাইটিনল তার না, নাইটিনলের সেফটিপিন, বৃত্তাকার নাইটিনলও এমন হবে।(ইউ

আর নাইটিনলের এই বিশেষ ধর্মের জন্য একে বলা হয় ম্যাজিক মেটাল।

এবার আসি নাইটিনলের পরিচিতিতে।

নাইটিনল

নিকেল টাইটিনিয়াম যা নাইটিনল নামে পরিচিত। নাইটিনল হলো সংকর ধাতু যা নিকেল ও টাইটিনিয়ামের সমান আণবিক অনুপাতে তৈরী।

নাইটিনল সংকর ধাতুটি দুটি খুবই অনন্য ও খুবই কাছাকাছি সম্পর্কযুক্ত ধর্ম প্রদর্শন করে।

১) আকৃতি ধরে রাখার অনন্য ক্ষমতা যাকে  Shape Memory বলে।

২)বিশেষ ধরনের স্থিতিস্থাপকতা ( superelasticity বা pseudoelasticity)

Shape memory হচ্ছে বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট যা নাইটিনলকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পরিসরে তার আকৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে।  নাইটিনল দিয়ে কোনো কিছু তৈরীর সময় নির্দিষ্ট আকৃতি দেওয়ার ক্ষত্রে তাপমাত্রা খুব বড় প্রভাবক। তৈরির সময়ের এই তাপমাত্রাকে রুপান্তরক তাপমাত্রা বলে।

নাইটিনলের বিশেষ ধরনের স্থিতিস্থাপকতা একটি ক্ষুদ্র তাপমাত্রার পরিসরে হয়ে থাকে যা এর রুপান্তর তাপমাত্রার বেশি। এই কারণেই বাঁকা তার টি এই রুপান্তর তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রার গরম পানিতে দেওয়ার ফলে সোজা হয়।

তথ্যসূত্র:

১)https://en.m.wikipedia.org/wiki/Nickel_titanium